সিঙ্গাপুর থেকে এসে পৌঁছাল সার্টিফিকেট, ঠিক কী ছিল জুবিনের মৃত্যুর কারণ?

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : তিনদিন আগে ইহলোক ছেড়ে সুরলোকের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন জুবিন গর্গ (Zubeen Garg)। গায়কের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ সমগ্র সঙ্গীত জগৎ। অসমের ভূমিপুত্রের এমন মর্মান্তিক পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না কেউই। তাঁর মৃত্যু রহস্য সমাধানে তৎপর হয়েছে অসম সরকার। আইনি দিকে গড়িয়ে গিয়েছে বিষয়টি। এই ডামাডোলের মধ্যেই এবার এসে পৌঁছাল জুবিনের (Zubeen Garg) ডেথ সার্টিফিকেট।

জুবিনের (Zubeen Garg) মৃত্যু শংসাপত্র পৌঁছাল দেশে

জুবিনের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ অসম। তাঁর মৃত্যু নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। খোদ মুখ্যমন্ত্রী সেই তদন্তে সহযোগিতা করছেন। রবিবার অসমে পৌঁছায় জুবিনের (Zubeen Garg) মরদেহ। অর এদিন এসে পৌঁছাল তাঁর ডেথ সার্টিফিকেট।

Zubeen garg death certificate reached assam

কী ছিল মৃত্যুর কারণ: সিঙ্গাপুর সরকারের তরফে অসমের কাছে এসে পৌঁছেছে জুবিনের মৃত্যু শংসাপত্র। সেখানে মৃত্যুর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে জলে ডোবাল কথা। কিন্তু অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, এটা ময়না তদন্তের রিপোর্ট নয়, মৃত্যুর শংসাপত্র মাত্র। তিনি আরও বলেন, সিআইডিকে সব তথ্য দেওয়া হয়েছে। সিঙ্গাপুর থেকে জুবিনের (Zubeen Garg) ময়না তদন্তের রিপোর্টটাও যাতে দ্রুত এসে পৌঁছায়, তার জন্য সেদেশের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন অসমের মুখ্যসচিব।

আরও পড়ুন : অবিশ্বাস্য কম দাম, থালায় করে বিকোচ্ছে চওড়া পেটির পদ্মার ইলিশ! স্বাদ কেমন হবে?

দায়ের হয়েছে এফআইআর: জুবিনের মৃত্যু রহস্য নিয়ে এখনও প্রশ্ন উঠছে অসমে। হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, জুবিনের (Zubeen Garg) মৃত্যুর ঘটনায় যতগুলি এফআইআর দায়ের হয়েছে, সবগুলি একত্রিত করে সিআইডির হাতে মামলা তুলে দেওয়া হবে। সিঙ্গাপুরে ময়না তদন্ত শেষ হওয়ার পর ভারতীয় দূতাবাসের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে গায়কের মরদেহ তাঁর সহকর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। শনিবার রাতে দিল্লি আসার পর রবিবার সকালে গুয়াহাটিতে নিয়ে আসা হয় জুবিনের (Zubeen Garg) দেহ।

আরও পড়ুন : রবিবারও রেহাই নেই, TRP ধরে রাখার দৌড়ে ফিকে পুজোর আমেজ? হতাশ ‘জগদ্ধাত্রী’ অঙ্কিতা

কী অনুরোধ গায়কের স্ত্রীর: এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও শেয়ার করে কাতর অনুরোধ করেছেন জুবিনের স্ত্রী গরিমা সাইকিয়া। ভিডিওতে তিনি বলেন, জুবিনের (Zubeen Garg) অনেক কাজ অসম্পূর্ণ রয়ে গিয়েছে। সেসব তিনি একা শেষ করতে পারবেন না। তাই ম্যানেজার সিদ্ধার্থের বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইআরগুলি তিনি প্রত্যাহার করার অনুরোধ করেছেন।