বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আফগানিস্তানের বিপুল সেনাবল, অত্যাধুনিক অস্ত্র ভান্ডার থাকা সত্ত্বেও তাদের পরাজিত করে যুদ্ধ জিতে নিয়েছে তালিবান। এই মুহূর্তে আফগানিস্তানের তাদের সরকার গঠন শুধু সময়ের অপেক্ষা। আফগান সেনার হারের ইতিমধ্যেই একাধিক কারণ সামনে এসেছে। এমনও জানা গিয়েছে, সরকারের দুর্নীতির কারণেই আরও বেশি সমস্যায় পড়েছে আফগান সেনা। এমনকি অনেকে ভিতরে ভিতরে যোগ দিয়েছিল তালিবান শিবিরেও৷ আসুন আজ জেনে নেওয়া যাক এমন দশটি দেশের সেনাবাহিনীর কথা যারা প্রকৃত অর্থেই সব থেকে দুর্বল।
১০. কোস্টারিকাঃ
এই দেশে কার্যত কোনও সেনাই নেই। শুনতে আশ্চর্য লাগলেও এখানে কেবলমাত্র কিছু যোগা শিক্ষক রয়েছেন। বিশ্বে কিন্তু এমন দেশ অনেক রয়েছে যাদের কোন সেনাই নেই। যেমন আইসল্যান্ড, মোনাকো, পানামা প্রভৃতি।
৯.ইরাকঃ
কাগজে-কলমে বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ সেনাবাহিনী হওয়া সত্ত্বেও এই মুহূর্তে সব থেকে দুর্বল সেনাবাহিনীগুলির অন্যতম ইরাক। কারণ এখানেও রয়েছে ৫০০০০ এরও বেশি ‘ঘোস্ট সোলজার’। অর্থাৎ খাতায় কলমে তাদের নাম আছে ঠিকই, কিন্তু আদতে কেউই কাজে আসেন না। এদের নামেই চলে দুর্নীতি।
৮.উত্তর কোরিয়াঃ
উত্তর কোরিয়ায় কার্যত সরকারি নিয়মে বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে যোগদান করতে হয়। আর সেই কারণেই কোন দায়বদ্ধতা নেই এই কোরিয়ান পিপলস আর্মির। তাই অত্যাধুনিক অস্ত্র শস্ত্র থাকা সত্ত্বেও ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে এই সেনাবাহিনী।
৭.ইরিত্রিয়াঃ
ইরিত্রিয়াকে বলা হয় “আফ্রিকার উত্তর কোরিয়া” এখানেও সরকারি নিয়ম অনুসারে সেনাবাহিনীতে কাজ করা বাধ্যতামূলক। আর তাই উত্তর কোরিয়ার মত একই ঘটনা ঘটেছে এখানেও।
৬.নাইজেরিয়াঃ
নাইজেরিয়া প্রবল তেলের সম্পদ থাকা সত্ত্বেও মূলত ইসলামিক বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে তাদের সেনাবাহিনী। এই সেনাবাহিনীর কাছে অত্যাধুনিক পোশাক-আশাক, আর্মার প্রভৃতি একেবারেই নেই।
৫.ফিলিপিনসঃ
ফিলিপিন্সের মূল সমস্যাও টেকনোলজির। এদের কাছে না রয়েছে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান না অত্যাধুনিক জলজাহাজ। নৌ বাহিনী এবং বিমান বাহিনী এখনও ৬০ বছরের পুরনো প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসছে।
৪.তাজাকিস্তানঃ
তাজাকিস্তানের নিজস্ব কোন সেনাবাহিনী কার্যত নেই বললেই চলে। রাশিয়ান শান্তিরক্ষা বাহিনী দিয়েই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তারা। কার্যত ১৯৯৪ চেষ্টা করা হয়েছিল একটি বাহিনী গড়ে তোলার। কিন্তু তারপরেই শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। যার জেরে এখন রাশিয়ান শান্তিরক্ষা বাহিনীর ভরসাতেই রয়েছে তারা।
৩.মঙ্গোলিয়াঃ
মঙ্গোলিয়া যেহেতু ভূমি দিয়ে ঘেরা একটি দেশ, তাই তার কোনো নৌ-বাহিনী নেই। অন্যদিকে রাশিয়া এবং চীনের মাঝখানে পড়ে গিয়ে কার্যত লাচার অবস্থা তাদের। এছাড়া রয়েছে অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রের সমস্যা।
২. সৌদি আরবঃ
সৌদি কার্যত ২০১৫ সাল থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছে হাউতি উপজাতিকে বিতাড়িত করে সুন্নি শাসন প্রতিষ্ঠা করতে। কিন্তু মার্কিন ইন্টেলিজেন্স এবং আরব আমিরশাহির সাহায্য থাকা সত্বেও বারবারই ব্যর্থ হয়েছে তারা।
১.আফগানিস্তানঃ
আফগানিস্তানের সেনাবাহিনীকে মার্কিনরা যে রীতিমতো অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সাজিয়ে দিয়েছিল তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু তাও তালিবানদের ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। বরং দুর্নীতির জেরে অনেকেই যোগ দিয়েছেন তালিবান সেনায়। তাই এই মুহূর্তে সবচেয়ে দুর্বল সেনাবাহিনী যে তাদেরই বলা যায় এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।