বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আয় বাড়াতে এবার অভিনব পদক্ষেপ নিতে চলেছে ভারতীয় রেল (indian railway)। রেলমন্ত্রক সূত্রে জানা যাচ্ছে, অতিরিক্ত খরচ কমাতে ১০ হাজার স্টেশন, ৫০০ ট্রেন অবলুপ্তির পথে হাঁটতে চলেছে ভারত। জানা যাচ্ছে, যে সমস্ত ট্রেনে বহন ক্ষমতার ৫০ শতাংশ যাত্রী ওঠে না সেই সমস্ত ট্রেনগুলিকে বাতিল করা হবে। সেই রুটে অন্য ট্রেন থামিয়ে যাত্রী তোলা হবে বলেও জানা যাচ্ছে।
পাশাপাশি, দূরপাল্লার ট্রেনের ক্ষেত্রে নতুন নির্ধারিত দূরত্ব ২০০ কিমি। যার ফলে রেল মানচিত্র থেকে মুছে যাবে ২০০০ স্টেশন। তবে ঐ স্টেশন গুলিতে লোকাল ট্রেন চলবে বলে জানা যাচ্ছে। মহামারিতে রেল বন্ধ থাকায় আইআইটি বোম্বের সহযোগিতায় রেল এই নতুন প্রকল্পে মনোনিবেশ করছে। শুধু মাত্র দরকারি স্থানে খরচ করে এবং অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে আয় বাড়াতে চাইছে রেল।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মোদি সরকারের রেল মন্ত্রী পিযূষ গোয়েল টুইট করে জানিয়েছেন, ভারতীয় রেল ২০৩০ সালের মধ্যে নেট জিরো রেল হবে। ভারতীয় রেলের কার্বন নিঃসরণ নামিয়ে আনা হবে শূন্যে। রেলমন্ত্রী আরো বলেন, প্রতিবছর ৮০০ কোটি যাত্রী ও ১২০০ কোটি টন পণ্য পরিবাহী ভারতীয় রেল পুরোটাই হয়ে উঠবে ‘গ্রিন’.
কার্বন নিঃসরণ কমাতে ডিজেল ইঞ্জিনের ব্যাবহার সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে দেশে। তার বদলে সব ট্রেনই চালাতে হবে বিদ্যুতে। ২০১৪-তে ভারতীয় রেল কার্বন নিঃসরণ করেছিল ৬৮ লক্ষ ৪০ হাজার টন। এই নিঃসরণকেই শূন্যে নামাতে চাইছে মোদি সরকার।রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের মধ্যেই ভারতীয় রেল পুরোপুরি ইলেকট্রিক নির্ভর হয়ে উঠবে।
প্রসঙ্গত, ভারতীয় রেলকে কার্বন নিঃসরণ মুক্ত করবার জন্য আগেই কয়লা ও ডিজেল নির্ভরতা কমানোর কথা বলেছিল মোদি সরকার। সেই পথে হেঁটেই যে এই লক্ষ্যে এগোনো হচ্ছে তা স্পষ্ট করে দিলেন রেল মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। রেল সূত্রে খবর, সম্পূর্ণ ভাবে বিদ্যুৎ চালিত হলে গতিও বাড়বে ভারতীয় রেলে। ১০ থেকে ১৫ শতাংশ দ্রুততায় ছুটবে রেল বলা হচ্ছে এমনটাই।
https://twitter.com/PiyushGoyal/status/1298634732264071170?s=19
পাশাপাশি, গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকটি নতুন প্রোজেক্ট হাতে নিয়েছে রেল। যার ফলে ভারতীয় রেল আরো আধুনিক হয়ে উঠবে। বাড়বে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যও।