বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ২১ শে জুলাই, শহীদ স্মরণে তৃণমূল (All India Trinamool Congress) বাংলার (West bengal) মানুষকে ভার্চুয়াল মাধ্যমেই বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee)। করোনা ভাইরাসের কারণে এবারের সবা ধর্মতলায় না হয়ে হয়েছিল ভার্চুয়াল মাধ্যমেই। সেই সভায় মুখ্যমন্ত্রী দাঁড়িয়ে বলছিলেন, আবারও ক্ষমতায় আসলে গোটা পশ্চিমবঙ্গবাসীকে আজীবন ফ্রিতে রেশন এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা
শহীদ স্মরণের মঞ্চে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলছিলেন, বিজেপি গণতন্ত্রের শত্রু। বাম, কংগ্রেসেরও উচিত তাই গণতন্ত্রকে বাঁচাতে তৃণমূলের পাশে এসে দাঁড়ানো। মুখ্যমন্ত্রীর এই উক্তি প্রসঙ্গে তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় আনলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান।
মমতাকে আক্রমণ মান্নানের
আবদুল মান্নান বললেন, বাংলার গণতন্ত্রকে খর্ব করে হিটলারের থেকেও স্বৈরাচারী শাসন চালিয়েছেন মমতা ব্যানার্জী। জোর করে বিরোধী দলের বিধায়ক, জেলা পরিষদের সদস্য, পুরসভার কাউন্সিলর, পঞ্চায়েত সদস্যদের অর্থের লোভ দেখিয়ে বা পুলিশের ভয় দেখিয়ে নিজের দলে টেনেছেন। মমতা ব্যানার্জী বর্তমানে একজন বিপদে পড়া বাঘিনী। তবে এই বাঘিনীকে বাংলার মানুষ আর বাঁচাতে চায় না। তাঁর আর্তনাদ শোনার অপেক্ষায়। এই স্বৈরাচারীর পতন অবধারিত। নির্বাচনের আগেই তাঁর দলের ১০০ বিধায়ক, ২০ মন্ত্রী তৃণমূল ছেড়ে পালাবে। দলটাই আর থাকবে না’।
বাদ গেলেন না সুজন চক্রবর্তীও
মান্নানের সুরে সুর মিলিয়ে এদিন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীও মমতা ব্যানার্জীকে বিঁধলেন। তিনি বললেন, “বিজেপিকে বাংলায় নেমন্তন্ন করে কারা এনেছে? বাংলায় সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতির বীজ পোতার জন্য কে দায়ী? বাংলার মানুষ সবই জানেন। একুশের নির্বাচনেই তার হিসেব হবে।”