TET-এ ১৫টি প্রশ্ন ভুল! হাই কোর্টে মামলা হতেই পর্ষদকে বিরাট নির্দেশ বিচারপতি মান্থার

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২২ সালের টেট পরীক্ষায় (TET 2022) ১৫টি প্রশ্ন ভুল ছিল! ফের মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে। জানা যাচ্ছে, এবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রায় ৫০০ জন পরীক্ষার্থী। এর আগেও ২০২২ টেট পরীক্ষায় প্রশ্ন ভুলের অভিযোগ উঠেছিল। ৭টি প্রশ্ন ভুল ছিল এই দাবি নিয়ে গত বছর এপ্রিল মাসে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। তবে এবার ১৫টি প্রশ্ন ভুল ছিল বলে দাবি করা হয়েছে।

প্রায় ৫০০ জন পরীক্ষার্থী কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) কাছে জানিয়েছেন, ২০২২ সালের টেট পরীক্ষার ১৫টি প্রশ্ন নিয়ে বিভ্রান্তি আছে। শুধু তাই নয়, সেই পরীক্ষার বেশ কয়েকটি প্রশ্ন ভুল ছিল বলেও দাবি জানানো হয়। সম্পূর্ণ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে জবাব তলব করেছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা (Rajasekhar Mantha)।

টেট (TET) পরীক্ষার প্রশ্ন নিয়ে অতীতেও একাধিকবার ‘প্রশ্ন’ উঠেছে। এই বিষয়টায় একেবারেই সন্তুষ্ট নয় হাই কোর্ট। মঙ্গলবার জাস্টিস মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha) পরিষ্কার জানান, পর্ষদকে প্রশ্ন ভুলের স্থায়ী সমাধান বের করতে হবে। এই ধরণের ক্ষেত্রে কোন পরীক্ষার্থীরা নম্বর পাওয়া যোগ্য এবং কারা নম্বর পাওয়ার যোগ্য নন সেই বিষয়ে পর্ষদকেই নীতি নির্ধারণ করতে হবে। আর যদি পর্ষদ সেটা করতে না পারে, তাহলে আদালত ব্যবস্থা নেবে বলে জানান বিচারপতি।

আরও পড়ুনঃ ‘এখন BJP ভালো লাগছে তাই যাচ্ছি’, TMC-কে ‘ধোঁকা’ দিয়ে সপাট জবাব ‘দলবদলু’দের

আগামী ২০ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের টেট পরীক্ষাই শুধু নয়, এর আগে ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার ক্ষেত্রেও একই অভিযোগ উঠেছিল। ২০১৪ সালে প্রায় ২০ লাখ প্রার্থী পরীক্ষায় বসেছিলেন। সেই বছর ৬টি প্রশ্ন ভুল থাকার অভিযোগ নিয়ে ১৭৫ জন মামলা করেছিলেন। পরবর্তীকালে আরও বেশ কয়েকজন তাতে যোগ দেন।

calcutta high court tet 2022 case

২০১৮ সালে এই প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। এরপর কেটে গিয়েছে প্রায় ৬ বছর। কিন্তু এতদিনেও সমস্যার সমাধান হয়নি। এবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, এই ধরণের ক্ষেত্রে পর্ষদকেই একটি নির্দিষ্ট নীতি নির্ধারণ করতে হবে। পাশাপাশি পর্ষদের থেকে জবাবও তলব করেছে হাই কোর্ট।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর