বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভোট এসেছে, গেছে … কিন্তু এরকম দলদবল বাংলা এর আগে কোনদিনও দেখেনি। আর সবথেকে বড় আশ্চর্যের বিষয় হল শাসক দলের প্রার্থী হয়েও দলবদল? হ্যাঁ এরকমই কাণ্ড ঘটে দিয়েছে মালদহে। সেখানে হবিবপুরের তৃণমূল প্রার্থী আসন পছন্দ না হওয়ায় বিজেপিতে যেতে পারেন বলে খবর। এমনকি তিনি কাল রাতে মালদহ থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
হবিবপুরের তৃণমূলে প্রার্থীর খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়ায় কালীঘাটে। সুত্র থেকে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, হবিবপুরের তৃণমূল প্রার্থী সরলা দেবীকে সরিয়ে এবার প্রদীপ বাস্কেকে সেখানকার প্রার্থী করছে কালীঘাট। তবে সরলা মুর্মু হবিবপুরের প্রার্থী হতে চাইছেন না কেন? ওয়াকিবহাল মহলের মতে, হবিবপুরে সরলা মুর্মুর জেতা অনেক কঠিন।
হবিবপুরের আসনে একদা ক্ষমতায় ছিলেন তৎকালীন সিপিএম বিধায়ক খগেন মুর্মু। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে খগেনবাবু বিজেপিতে যোগ দেন। আর তিনি সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন। এরপর খগেনবাবুর খালি বিধানসভা আসনে উপ নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী জুয়েল মুর্মু জয়ী হন।
এবারও জুয়েলবাবু ওই আসন থেকেই নির্বাচনে লড়তে পারেন। আর জুয়েল মুর্মুর বিরুদ্ধে সরলা মুর্মুর জয় বেশ কঠিন। সেই কারণেই সরলা মুর্মু ওই আসনে দাঁড়াতে চাইছেন না। আর পুরাতন মালদহ সরলা মুর্মুর জন্মস্থান সেখানে দাঁড়ালে তিনি জয় পেলেও পেতে পারেন, সেই কারণে হবিবপুর ছেড়ে পুরাতন মালদহ থেকে নির্বাচনে লড়তে চান তিনি।
তবে এও জানা গিয়েছে যে, সরলাদেবী শুধু প্রার্থীপদই প্রত্যাহার করছেন না। তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগও দিতে চলেছেন। রবিবার মোদীর ব্রিগেডের পরের দিনই তৃণমূলে বড়সড় ভাঙন ধরছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, আজ মালদহ থেকে তৃণমূলের ১৪ জন নেতা কলকাতায় এসে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। এর পাশাপাশি আজ তৃণমূলের বিধায়ক সোনালী গুহও বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন বলে খবর।