বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ২০১৪ সালে প্রথমবার ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হওয়ার পর নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) দ্বিতীয় বার ফের নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন। দ্বিতীয় দফার প্রথম বর্ষের পূর্তিতে মোদীজী আগের তুলনায় আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছেন। দেশ চালানোর ক্ষমতায় বহুগুণ এগিয়ে রয়েছেন তিনি।
প্রকাশ্যে আসতে থাকে মোদী ম্যাজিক
২০১৯ সালে প্রায় ৩০০ টিওর বেশি আসনে জয়লাভ করে দ্বিতীয় বারের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে অবতীর্ন হন মোদী সরকার। এই দীর্ঘ সময়কালে তার বিরুদ্ধে অনেকরকম বিরোধিতার ঢেউ তুলেছে বহু বিরোধিপক্ষ। ২০১২ সালের লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভের পর থেকে দিকে দিকে বিজেপির পোস্টার, পামফলেট, হোর্ডিংস এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপিকে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে যান নরেন্দ্র মোদী। ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসতে থাকে মোদী ম্যাজিক।
মোদীর কর্মকান্ড
প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হয়ে তিনি এমন অনেক ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, যা দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে ওই কাজ করবার আগে দশবার ভাবতে হবে। নোট বাতিল, ৩৭০ ধারা রদ, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, এয়ার স্ট্রাইক থেকে শুরু করে তিন তালাক বাতিল, এমনকি নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের ক্ষেত্রে প্রতিটি বিষয়েই তার দক্ষতা প্রকাশ পায়। এছাড়াও উজ্জ্বলা প্রকল্প, টয়লেট, আবাসন প্রকল্প, কিষান সম্মান নিধির মতো প্রকল্পের জন্য সর্বজন প্রশংসা পেয়েছেন তিনি। বুলেট ট্রেনের বিষয়েও তার চিন্তা ভাবনার বিষয়ে তাঁকে সম্মান জানিয়েছেন বহু শীর্ষ স্থানীয় নেতৃত্বরা।
দিকে দিকে ছড়িয়ে মোদী মাহাত্ম্য
প্রধানমন্ত্রীর আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে যোগ দিবস, হাওডি মোদী এবং নমস্তে ট্রাম্পের মতো ঘটনা বিশ্বের কাছে তাঁর মহানুভবতার পরিচয় দেয়। এমনকি করোনা ভাইরাসের সংকটের দিনে লকডাউনের মধ্যে মানুষজনকে ভরসা যোগাতে হাততালি দেওয়া এবং প্রদীপ জ্বালানোর বিষয়ও সর্বজন প্রশংসিত। বিভিন্ন ঐতিহাসিক কর্মকান্ড সম্পন্ন করার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন শব্দেরও ব্যবহার করছেন। যেমন, ‘সবক সাথ সাবকা বিকাশ’, ‘মোদী হো তো মুমকিন হে’,’ না খোয়েঙ্গা না খোনা দুঙ্গা’, ‘মে ভি চৌকিদার’ ইত্যাদি শব্দের মাধ্যমে গ্রাম থেকে শহর প্রতিটি স্তরের মানুষ অনুপ্রেরণা পেয়েছেন।
বিশ্বের দরবারে এগিয়ে গেছে ভারত
২০১৪ সালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের জেরে যখন সার্কের দেশগুলির নেতাদের এতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, সেই সময় থেকেই ‘মোদী ম্যাজিক’ শুরু হয়েছিল। ম্যাডিসন স্কোয়ার থেকে ২০১৯ সালে হিউস্টনের ‘হাওডি মোদী’, পরবর্তীতে ২০২০ সালে আহমেদাবাদে ‘নমস্তে ট্রাম্প’ প্রতিটি ক্ষেত্রে মোদী তাঁর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সব কিছুর পাশাপাশি তাঁর কর্মদক্ষতার জেরে আজ তিনি বিশ্বের দরবারে ভারতকে অনেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছেন।