ভারতের বিরুদ্ধে চিন-মলদ্বীপের যৌথ চাল! ভারত মহাসাগরে নজর ২ টি চিনা গুপ্তচর জাহাজের, সতর্ক নৌসেনা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: মলদ্বীপের (Maldives) প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর (Mohamed Muizzu) ভারত (India) বিরোধী তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন তিনি চিনের (China) সাথে মিলে ভারতের বিরুদ্ধে বড় ষড়যন্ত্র করছেন। ইতিমধ্যেই স্যাটেলাইট ট্র্যাকিং ডেটা থেকে জানা গিয়েছে যে, দু’টি চিনা গুপ্তচর জাহাজ মলদ্বীপের উপকূলে ভারত মহাসাগরে অবস্থান করছে। জিয়াং ইয়াং হং ০১ নামের একটি জাহাজ ভারতের পূর্ব উপকূলে রয়েছে। এটিকে বঙ্গোপসাগরের দিকে আসতে দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি, দ্বিতীয় চিনা সামরিক রিসার্চ-সার্ভে-সার্ভিল্যান্স জাহাজ জিয়াং ইয়াং হং ০৩ বর্তমানে ম্যালে বন্দরে রয়েছে।

উল্লেখ্য যে, জিয়াং ইয়াং হং ০১ জাহাজের কোনো লিস্টেড ডেস্টিনেশন নেই। তাই গোয়েন্দা তথ্য থেকে সঙ্কেত মিলেছে যে, ওই গুপ্তচর জাহাজটি অপারেশনাল টার্নরাউন্ড (ওটিআর)-এর জন্য শ্রীলঙ্কার বন্দর ব্যবহার করতে পারে। যদিও শ্রীলঙ্কা ২০২৩-এর ২২ ডিসেম্বরে সার্ভে জাহাজের বিরুদ্ধে এক বছরের স্থগিতাদেশ ঘোষণা করেছিল।

2 Chinese spy ships spotted in Indian Ocean

যদিও, ইনপুট পাওয়া গেছে, এই জাহাজটিকে ডকিংয়ের অনুমতি দেওয়া হবে। জানিয়ে রাখি যে, বন্দরে ডকিং মানে হল দড়ি দিয়ে বেঁধে জাহাজকে বন্দরে থামানোর প্রক্রিয়া। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এইসব জাহাজ ভারতের দিকে নজর রাখছে বলেও ইনপুট পাওয়া গেছে। এমতাবস্থায়, বিপদ টের পেয়ে ভারতীয় নৌবাহিনী জাহাজ দু’টির ওপর নজরদারি শুরু করেছে।

আরও পড়ুন: কমবে জিনিসের দাম, হবে প্রচুর কর্মসংস্থান! ডবল সুখবর আম জনতার জন্য

দু’টি জাহাজের কারণে উদ্বেগ বেড়েছে: চিনা সামুদ্রিক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, এই জাহাজগুলির মূল উদ্দেশ্য হল ভবিষ্যতের নৌ সাবমেরিন অপারেশনের জন্য হাইড্রোগ্রাফি এবং হাইড্রোলজিক্যাল সার্ভে পরিচালনা করা। তবে ভারতের পূর্ব সমুদ্র তীরের কাছে চিনা গুপ্তচর জাহাজের উপস্থিতি অনেক প্রশ্নের উদ্ভব ঘটাচ্ছে। উল্লেখ্য যে, ভারতের কাছে বর্তমানে তিনটি পারমাণবিক শক্তিচালিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী সাবমেরিন রয়েছে এবং তৃতীয়টির বর্তমানে গভীর সমুদ্রে পরীক্ষা চলছে।

আরও পড়ুন: বিভিন্ন রাজ্যে ১ লক্ষ কোটির ১১২ টি জাতীয় সড়কের শুভারম্ভ করলেন প্রধানমন্ত্রী, নির্বাচনের আগে বড় চমক মোদীর

মুইজ্জু ভারত বিরোধী কৌশল অনুসরণ করছেন: ভারত মহাসাগরে চিনা জাহাজ ০১ ও ০৩ বিচরণ করায় সরকারের উদ্বেগ বেড়েছে। জানিয়ে রাখি যে, মোহাম্মদ মুইজ্জু ২০২৩-এর ১৭ নভেম্বরে মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ভারত-বিরোধী কৌশল অনুসরণ করছেন। প্রথমে তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীকে মলদ্বীপ ছেড়ে যেতে বলেন। এরপর প্রথম বিদেশ সফরে তিনি ভারতের পরিবর্তে তুরস্কে যান। এছাড়াও তিনি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ভারতকে সেনা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিতে থাকেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর