বাংলাহান্ট ডেস্ক : আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট। আর তার আগেই বড় ধাক্কা খেল তৃণমূল (TMC)। আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) দুই পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়ায় উত্তরবঙ্গে শক্ত হল বিজেপির হাত। এমনকি জানা যাচ্ছে, ওই পঞ্চায়েতে বিজেপির সদস্যের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া এবার অনাস্থা প্রস্তাবও আনতে পারে পদ্ম শিবির।
শুক্রবার রাতে শালকুমার গ্রামপঞ্চায়েতের দুই সদস্য, গনেশ দাস ও যমুনা সরকার-সহ আরও বেশ কিছু তৃণমূল সদস্য দল বেঁধে যোগ দিলেন বিজেপিতে। বিজেপির জেলা সভাপতি ভূষন মোদক ও ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মনের উপস্থিতি ছিলেন এই যোগদান পর্বে।
শালকুমার গ্রামপঞ্চায়েতে মোট সদস্য সংখ্যা ১৯। এতদিন পর্যন্ত তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা ছিল ১১ জন। এর মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। জীবিত সদস্য সংখ্যা ছিল ১০। সেখান থেকে ২ জন যোগ দিলেন বিজেপিতে। এর ফলে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা কমে হল ৮ জন। আর বিজেপির সদস্য সংখ্যা বেড়ে হল ১০ জন। এর ফলে বিজেপি শাসক দলের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই ওই অঞ্চলে চাপ বাড়ল তৃণমূলের উপর।
তবে, চাপের কথা মানতে একেবারেই নারাজ জোড়া ফুল শিবির। তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান মৃদুল গোস্বামী দাবি করেন, এই যোগদানের ফলে তৃণমূলের ওপর কোনও চাপ বাড়বে না। তবে হঠাৎ কেন ওই সদস্যরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গেলেন, সে বিষয়ে না জেনে কোনও মন্তব্য করতে চাইলেন না তৃণমূল নেতা।
ফালাকাটার বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মণের দাবি, যে ভাবে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসছে, সে কারণেই তারা দলত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। তাঁর কথায়, ‘চোরেদের দলে কে আর থাকতে চায়?’ শাসক দলের তরফ থেকে এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে শাসানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। তিনি দাবি করেন, যোগদান এই সবে শুরু। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগে আরও অনেকে তৃণমূল ছাড়বেন।