‘সম্ভব নয়…’, প্রাথমিকে ডিএলএড, বিএড মামলা নিয়ে এবার মুখ খুললেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কিছুতেই কাটছে না প্রাথমিক মামলার জট। বুধবারই প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে মেধা তালিকা প্রকাশ হয়েছে। আর তার ঠিক ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ফের মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। আইনি জটিলতা শেষে বুধবার নয় হাজার ৫৩৩ জন প্রাথমিক শিক্ষক (Primary Teacher) নিয়োগের জন্য প্যানেল প্রকাশ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (West Bengal Board Of Primary Education)। এরপরই ২০২২-এর প্যানেল সংক্রান্ত নোটিফিকেশন চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করার আবেদন জমা পড়ল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)।

নোটিফিকেশন চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করার অনুমতিও দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা। গত বছর একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বিএড ডিগ্রি করা চাকরি প্রার্থীরা যোগ্য নয়। ডিএলএড ডিগ্রি যাদের রয়েছে তাদের নিয়োগ করতে হবে। সুপ্রিম নির্দেশ মেনে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রকাশিত মেধাতালিকায় বিএড করা প্রার্থীদের সুযোগ দেওয়া হয়নি। তালিকা তৈরি করা হয়েছে ডিএলএড ডিগ্রিকে গুরুত্ব দিয়ে।

এদিকে এমন অনেক প্রার্থীও ছিল যাদের ডিএলএড, বিএড দুই ডিগ্রিই রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের আগেই কেউ কেউ বিএড এ নম্বর বেশি থাকায়, কেউ আবার বিএড উচ্চতর যোগ্যতামান হওয়ায় ফর্ম ফিল আপের সময় ডিএলএড ডিগ্রির বদলে বিএড ডিগ্রি দিয়েছে। এই অবস্থায় বিএড এবং ডিএলএড দুই ডিগ্রি রয়েছে এমন প্রার্থীরা এখন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।

মামলাকারীদের দাবি, তাদের বিএড এবং ডিএলএড দুই ডিগ্রিই রয়েছে। বিএড গ্রহণযোগ্য না হলেও ডিএলএড ডিগ্রিকে গুরুত্ব দিয়ে কেন তাদের প্যানেলে যুক্ত করা হল না? হাইকোর্ট সূত্রে খবর আজই এই মামলার শুনানি। প্রাথমিকে ৯ হাজার ৫৩৩ নিয়োগের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।

মামলাকারীর আইনজীবীর বক্তব্য, ২০২২ সালের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারির সময় জানানো হয়েছিল, ডিএলএডের পাশাপাশি বিএড ডিগ্রিধারীরাও ফর্ম ফিলআপ করতে পারবেন। তাই চাকরি প্রার্থীরা কেউ কেউ বিএড এর নম্বর বেশি থাকায় তার উল্লেখ করেই ফর্ম ফিলআপ করেছিলেন।

এদিকে এই প্রসঙ্গে প্রাথমিক পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল (WBBPE president Gautam Pal) জানিয়েছেন, মামলাকারীদের করা এই মামলার সঙ্গে প্রকাশিত মেধা তালিকার কোনও সম্পর্ক নেই। ডিএলএড এবং বিএড দু’টি ডিগ্রিই রয়েছে এমন চাকরিপ্রার্থীরা মামলা করেছেন। আবেদনের সময় অনেকে বিএডের নম্বর বেশি থাকায় সেই নম্বর দিয়ে আবেদন করেছিলেন। এদিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর এখন নিয়োগের ক্ষেত্রে বিএডের ডিগ্রি গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় তারা এখন ডিএলএডের ডিগ্রিকে প্রাধান্য দিতে বলছেন। তবে এটা করা সম্ভব নয়।

high court

আরও পড়ুন: ‘টাকা মিলেছে, চাকরিগুলো করে দিতে হবে’, রাজ্যের মন্ত্রীর কাছে গিয়েছিল বার্তা! ফাঁস হাইকোর্টে

পর্ষদ সভাপতি আরও জানিয়েছেন, অনেক প্রার্থী এনআইওএস থেকে ডিএলএড করেছেন, আদালতের নির্দেশ মেনে তাদেরও সুযোগ দেওয়া সম্ভব নয়। যোগ্যতামান কম থাকার ফলে তাদেরও ইন্টারভিউয়েই ডাকা হয়নি। মামলাকারীদের তালিকায় সেই সব প্রার্থীরাও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর