বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ চলতি বিশ্বকাপে (2023 ODI World Cup) একাধিকবার বিতর্কের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের (Bangladesh Cricket Team)। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলেছে খারাপ পারফরম্যান্স। অনেকের মতেই চলতি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল সাকিব আল হাসানের (Shakib Al Hasan) নেতৃত্বে নিজেদের দেশের মান সম্মান ভূলুণ্ঠিত করে গিয়েছে।
তারমধ্যে তারা শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে জয় পেয়েছে। সেই দুটি ম্যাচে তাদের পারফরম্যান্স সত্যিই প্রশংসনীয় ছিল। কিন্তু তা বাদে বাংলাদেশের বিশ্বকাপের তখন উত্তর তো হতাশাজনক ও বিতর্কিত। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বিশ্বকাপ চলাকালীন সমালোচিত এবং বিতর্কিত তিনটি বাংলাদেশের ক্রিকেট মুহূর্ত….
১. কোহলির শতরান আটকাতে ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়াইড বল: বাংলাদেশ বনাম ভারত ম্যাচে অপ্রত্যাশিতভাবে বাংলাদেশ ব্যাটিং প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল এবং ভারতকে জয়ের জন্য ২৫৭ রানের টার্গেট দিতে পেরেছিল। বিরাট কোহলি শতরানে ভর করে ভারতীয় দল সহজেই সেই রান তাড়া করে জেতে। কিন্তু শেষদিকে ভারতের দখল পুরোপুরি নিশ্চিত এবং বিরাট কোহলি নিজের শতরানটিও সম্পূর্ণ করে নেওয়ার জন্য একাই সমস্ত রান করছিলেন। সেই সময় নাসুম আহমেদ কোহলির সেঞ্চুরি আটকানোর জন্য ইচ্ছাকৃত ওয়াইড বল করে ভারতকে জিতিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। যদিও তার সেই চেষ্টা শেষ পর্যন্ত কাজে আসেনি কিন্তু তিনি প্রবল সমালোচিত হয়েছিলেন।
২. সাকিবের টাইমড আউটের সিদ্ধান্ত: বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ক্রিকেটের ইতিহাসে কোন ব্যাটারকে টাইমড আউট হতে দেখা গিয়েছে। বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচে কত পিচে পৌঁছানো অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস উপলব্ধি করেন যে তার হেলমেটে কিছু সমস্যা রয়েছে এবং তিনি নতুন হেলমেটের জন্য আবেদন করেন। নিয়ম মতন একজন নতুন ব্যাটারকে একজন আউট হওয়ার পরে তিন মিনিটের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যেতে হয় পরের ডেলিভারী ফেস করার জন্য। কিন্তু ক্ষেত্রে সেটা না হওয়ায় শাকিব আম্পায়ার এর কাছে আউটের আপিল করেন এবং আম্পায়ার সেই আপিল মঞ্জুর করেন। অনেকে সেই বিষয়টির আলোচনা করলেও সাকিব জানান যে তিনি মনে করেছিলেন তিনি দলের হয়ে যুদ্ধে নেমেছেন এবং যুদ্ধে জেতার জন্য তিনি সবকিছু করতে পারেন।
আরও পড়ুন: সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে নামার আগে পুরোনো ঘাতক ও রেকর্ডই মূল শত্রু কোহলির
৩. দলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব: বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার ঠিক কয়েকদিন আগে দলের অন্তরে দুই সিনিয়র ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবালের মধ্যে মতানৈক্য সকলের সামনে প্রকাশ্যে চলে আসে। তামিমকে ইনজুরির কারণে বাদ দেওয়া হয়। এরপর সিনিয়র বাংলাদেশি ওপেনার সোশ্যাল মিডিয়ায় সকলের কাছে সেই সংক্রান্ত কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করেন। সবমিলিয়ে বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগেই বাংলাদেশ শিবিরের অন্দরমহল এর পরিস্থিতিটা কতটা বিশ্রী সেটা প্রকাশ্যে চলে আসে।