বাংলা হান্ট ডেস্ক : অদ্ভুত এক কান্ড ঘটে গেল দেরাদুনে (Dehradun)। এক যুবক প্রায় ৩ বছর একটি বন্ধ ঘরে বন্দি হয়ে থাকেন। তারপর তাঁকে উদ্ধার করা হয়। এরপর থেকেই তাঁর মধ্যে অদ্ভুত পরিবর্তন লক্ষ্য করে তাঁর পরিবার। বাধ্য হয়ে তাঁরা যোগাযোগ করেন পুলিসে। পুলিস জেরা করে বুঝতে পারে সেই যুবক কট্টর ইসলামের সমর্থক হয়ে গেছেন। এরপরই পুলিস মনোবিজ্ঞানীর সাহায্য নেওয়া শুরু করে।
ওই ব্যক্তির পরিবার সূত্রে খবর, বিগত ৩ বছর ধরে ওই ব্যক্তি ঘরের বাইরেও বের হননি। তিনি নাকি ক্রিপ্টো কারেন্সির ব্যবসা করতেন। অনলাইন ট্রেডিং করতে করতেই করতেই তিনি খুঁজে পান নানান গোপন ওয়েবসাইট। যেখান থেকে তিনি আসক্ত হয়ে পড়েন ইসলামে।
ওই যুবক শুরু করে দেন নমাজ পড়াও। এরই সঙ্গে চলতে থাকে আরও নানা রকম ধর্মীয় কাজকর্ম। ওই ব্যক্তির চালচলন দেখে সন্দেহ হওয়ায় পুলিসকে খবর দেয় তাঁর পরিবার।
পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নামে পুলিস। ওই ব্যক্তিকে জেরা করা শুরু হয়। জেরায় উঠে আসে একাধিক তথ্য জানা যায় ক্রিপ্টো কারেন্সি নিয়ে পড়াশুনা করার সময়ই তিনি আকৃষ্ট হন ইসলামের প্রতি। তারপরই শুরু করে দেন নামাজ পড়া। তাঁর ঘর থেকে পুলিস একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করেছে।
বৈভব নামের ওই যুবকের পিতা অভিযোগ করে বলেন ছেলে তাঁর সঙ্গেও অভদ্র আচরণ করেছেন। ইসলাম নিয়ে জোরদার তর্কও করেছেন তিনি। যখন ওই যুবক তাঁর বন্ধ ঘর থেকে বাইরে আসেন তখনই তিনি ইসলাম নিয়ে বলতে থাকেন। সরাচর তিনি বাইরে আসতেন না। শুধু খাওয়ার সময়ই দেখা পাওয়া যেত তাঁর।
বিগত তিন বছর ধরে বৈভব নিজেকে ঘরের মধ্যে বন্দি করে ফেলে। ক্রিপ্টো কারেন্সির খোঁজ করতে করতে তিনি যুক্ত হয়ে যান ইসলামিক গ্রুপের সঙ্গে। দেরাদুনের পুলিস আধিকারিক দলীপ সিংহ কুঁয়ার বলেন যুবকের ঘরে একটি ল্যাপটপ পাওয়া যায়। তিনি উর্দু শিখেছেন। নামাজ পড়াও শুরু করে দিয়েছেন। বৈভব মানসিক ভাবে অসুস্থ বলেই মনে করছে পুলিস। শুধু তাই নয়, দেশ বিরোধী কোনও কাজে বৈভব যুক্ত কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।