আর ১ ঘণ্টা! আজই কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি, আর জি কর আবহেই বড় আপডেট

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর জি কর (RG Kar) আবহে হাসপাতালে থ্রেট কালচার, আতঙ্ক বা ভয়ের বাতাবরণ তৈরী করার অভিযোগে গত সেপ্টেম্বর মাসে ৫১ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয় হাসপাতালের কলেজ কাউন্সিলের তরফে। এবার সাসপেন্ড হওয়া চিকিৎসকদের মধ্যে ৩১ জন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন। তাদের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের সাসপেন্ড করায় পুলিশ হস্টেলে ঢুকতে বাধা দিচ্ছে। সমস্যার সুরাহা করতে আইনি সাহায্য চাইছেন তারা।

ইতিমধ্যেই কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিভাস পট্টনায়ক আরজি করের ওই ৩১ জন চিকিৎসককে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন। আজই এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা। দুপুর আড়াইটে নাগাদ মামলাটি শুনতে পারে হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, গত মাসে সাসপেন্ড হওয়া ৫১ জন চিকিৎসকই আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বলে সূত্রের খবর।

জানিয়ে রাখি, ওই ৫১ জনের মধ্যে হাউস স্টাফ সহ জুনিয়র ডাক্তারেরাও রয়েছেন। আদালতে অভিযোগকারীদের অভিযোগ, তারা হস্টেলে ঢুকতে চাইলে তাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। এই নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তারা। এবার উচ্চ আদালত কি নির্দেশ দেয় সেটাই দেখার।

গত ৯ অগস্ট আর জি কর হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় ৩১ বছরের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। এই ঘটনার জেরেই শিরোনামে উঠে আসে আর জি কর হাসপাতাল। সামনে আসে হাসপাতালের একের পর এক অনিয়মের অভিযোগও। দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে চলতে থাকা ‘থ্রেট কালচারে’র মতো গুরুতর অভিযোগ ওঠে।

RG Kar Hospital suspended junior doctors goes to Calcutta High Court against hospital decision

আরও পড়ুন: সন্দীপ অতীত! আরজি কর মামলায় এবার CBI স্ক্যানারে এই ৬ ব্যক্তি! ফাঁস হতেই তোলপাড়

গুরুতর এই অভিযোগ সামনে আসতেই আর জি কর থেকে ৫১ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়। যারা প্রত্যেকেই সন্দীপ ঘোষ ‘ঘনিষ্ঠ’ বলেই পরিচিত। প্রাক্তন অধ্যক্ষর ‘মদতে’ হাসপাতালে তাদের বাড়বাড়ন্ত বলে অভিযোগ সামনে আসে। এরপরই আসরে নামে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যদিও পাল্টা এই অভিযুক্তদেয় দাবি, থ্রেট কালচারের অজুহাতে নিজেদের অপছন্দের ইন্টার্ন-পিজিটিদের হাসপাতাল থেকে সরিয়ে দিতে চাইছে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদেয় একাংশ। তাদের পাল্টা দাবি তারাই ‘থ্রেট কালচারের’ শিকার।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর