বাংলাহান্ট ডেস্ক : মাত্র দিন পনেরোর ব্যবধান। তার মধ্যেই তিন তিনটি নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনায় শিরোনামে মালদহ। ইংরেজবাজার, হরিশচন্দ্রপুরের পর এর এবার মানিকচকে ধর্ষিত ৪ বছরের শিশুকন্যা। একের পর এক পাশবিক ধর্ষণের ঘটনার বড়সড় প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে মালদহের নারী নিরাপত্তা। ওই শিশুকন্যাকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে এক নাবালকের বিরুদ্ধে। যদিও এখনও অধরা অভিযুক্ত।
জানা যাচ্ছে গত ২৭ মার্চ, বাড়ির সামনেই খেলা করছিল ছোট্ট ওই শিশুকন্যাটি। সেই সময়ই সেখান থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্ত। তারপর বাড়ি থেকে কিছুটা দূরের একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় তাকে। এরপর শিশুটিকে সেখানেই ফেলে রেখে পালায় অভিযুক্ত ওই নাবালক। বহুক্ষণ ধরে মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পরিবারের লোকজন। শেষমেষ ওই ফাঁকা জায়গা থেকে শিশু কন্যাটিকে উদ্ধার করেন তার মা। তাকে পুরো বিষয়টি জিজ্ঞেস করা হলে মায়ের কাছে সব কথা খুলে বলে সে। এরপরই ঘটনাটি প্রতিবেশীদের জানান মহিলা। রবিবার অভিযোগ দায়ের করা হয় পুলিশের কাছে। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় লাগাতার শিরোনামে মালদহ জেলা। দিন পনেরো আগে মালদহের ইংরেজবাজার এলাকায় এক কিশোরী মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে হাত পা বেঁধে তার নিজের বাড়িতেই চলে নারকীয় অত্যাচার। লাগাতার ধর্ষণে মারাত্মক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। ঘটনায় অভিযুক্ত রায়হান শেখ এবং তার দুই সিভিক ভলেন্টিয়ার দাদাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এরপর দিন দুয়েক আগেই মেলা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে অপর এক কিশোরীকে গণধর্ষণ করা হয়। হরিশচন্দ্রপুরের চণ্ডীপুর হাইস্কুলের পাশে একটি পরিত্যক্ত স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ছাদে ১৩ বছরের ওই কিশোরীকে নির্যাতন চালায় ৫ অভিযুক্ত। চলে অকথ্য অত্যাচারও। এই দুই ঘটনার পর এবার মালদহে ধর্ষিতা চার বছরের এই ছোট্ট শিশুকন্যা। এহেন একের পর এক ঘটনায় ঠিক কোথায় দাঁড়িয়ে মালদহ জেলায় শিশু এবং নারী নিরাপত্তা? প্রবল হয়ে দেখা দিচ্ছে এই প্রশ্নটাই।