বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিগত কয়েকদিনে ভারত ও মলদ্বীপের সম্পর্ক ঠেকেছে তলানিতে। এই আবহে জানা যাচ্ছে, মলদ্বীপ ৪৩ জন ভারতীয় ব্যবসায়ীকে ‘ডিপোর্ট’ করেছে। শুধু ভারতীয় নয়, প্রচুর বাংলাদেশ, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কারও নাগরিকদেরও ফেরত পাঠানো হয়েছে দেশে। তবে জানা যাচ্ছে এই তালিকায় নেই চীনের কোনও নাগরিক।
মলদ্বীপের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক গত সোমবার জানায়, বেআইনিভাবে সে দেশে চলা ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া হবে। এমনকি বন্ধ করে দেওয়া হবে সে দেশের বিদেশী ব্যবসায়ীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। সিকিউরিটি মন্ত্রী আলি এহসান এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন সে দেশের অর্থ মন্ত্রকের সাথেও। অভিযোগ আসছে স্থানীয় মানুষদের নামে রেজিস্ট্রেশন করিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছেন বিদেশিরা।
আরোও পড়ুন : বসিরহাট থেকে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়! অনন্য সাফল্য বাংলার যুবকের, জেনে গর্ব করবেন
এমনকি ব্যবসার লভ্যাংশ গিয়ে জমা হচ্ছে বিদেশিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। দেশটির অভিবাসন দপ্তর জানিয়েছে, বেআইনি কাজ কর্মের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে চিহ্নিত করা হয়েছে ১৮৩ জন বিদেশিকে। এই বিদেশিদের চিহ্নিত করে পাঠানো হয়েছে নিজেদের দেশে।
আরোও পড়ুন : DA বৃদ্ধির পর সামনে ফের সুখবর! নয়া বছরে লটারি লাগলো এই সব রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের
যে সকল বিদেশিদের নিজেদের দেশে পাঠানো হয়েছে তাদের মধ্যে সবথেকে বেশি সংখ্যায় রয়েছেন বাংলাদেশের নাগরিকরা। জানা গেছে ৮৩ জন বাংলাদেশীকে মলদ্বীপ থেকে ডিপোর্ট করা হয়েছে। এই তালিকায় ভারতীয়দের স্থান দ্বিতীয়। এরপর তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে শ্রীলংকা। শ্রীলংকার ২৫ জনকে ডিপোর্ট করা হয়েছে।
অন্যদিকে, প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা করার জন্য ভারত সরকারের পক্ষ থেকে মলদ্বীপকে দেওয়া হয়েছিল দুটি হেলিকপ্টার এবং ডর্নিয়ার বিমান। এই বিমানগুলির পরিচালনার দায়িত্ব এবার সেনা জওয়ানদের বদলে সাধারণ নাগরিকদের দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। ভারতের পক্ষ থেকে ৮০ জন জওয়ান সে দেশে ছিলেন এই বিমানগুলি পরিচালনার জন্য।