বাংলাহান্ট ডেস্ক : অবশেষে, ধীরে ধীরে প্রকাশ পাচ্ছে অনুব্রত মন্ডলের (Anubrata Mandal) কেনা সম্পত্তি হদিশ। এই সম্পর্কিত নথিও পেশ হয়েছে আদালতে। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, এর মধ্যেই বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের মোট ৪৫টি জমির দলিলের খোঁজ মিলেছে। অন্যদিকে অনুব্রতর নামে গরুপাচার (Cattle Scam) এবং ভোটপরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence)-সহ দুটি মামলা ইতিমধ্যেই রয়েছে। এই অবস্থাতেই প্রকাশ্যে এল অনুব্রত-র সম্পত্তি নিয়ে মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো তথ্য। এই খবর সামনে আসতেই কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)।
আমি চুরিও করিনি আর ডাকাতিও করিনি
বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের (Anubrata Mandal) ৪৫ টি জমির দলিলের হদিশ মিলতেই তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, মেয়ে-বউয়ের নামে একাধিক জমি কিনেছেন অনুব্রত। কিছুদিন আগেই সিবিআইয়ের তলব সম্পর্কে অনুব্রত বলেন, ‘আমি চুরিও করিনি আর ডাকাতিও করিনি, শুধু সিবিআই ডাকাডাকি করছে আমাকে’। তবে একথা মুখে বললেও গরুপাচার মামলায় ধীরে ধীরে আরও জড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি। শুধু গরুপাচার মামলাই নয়, রয়েছে মাথার উপর খাঁড়া ঝুলছে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলাও। এদিকে সিবিআই দফতরে গেলে প্রত্যেক বারই বুকের বাঁদিক চেপে বেরিয়ে আসেন কেষ্ট। একের পর এক সিবিআই হাজিরা এড়ালেও, এদিন গরুপাচার মামলা বিষয়ে, অনুব্রত বলেন, ‘আমি চুরিও করিনি আর ডাকাতিও করিনি। শুধু শুধু আমাকে হয়রানি করছে। তবে সিবিআই ডাকলে আবার যাব।’
গরুপাচার, ভোট পরবর্তী হিংসা, বগটুই গণহত্যা
বাংলায় ২০২১-এর বিধানসভার কিছুদিন আগে থেকেই একের পর এক মামলায় বিপর্যস্ত অবস্থা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের। নারদ মামলা থেকে সারদা সাথে আইকোর, কয়লাপাচার, গরুপাচার, ভোট পরবর্তী হিংসা, বগটুই গণহত্যা, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি, প্রাথমিক নিয়োগে দুর্নীতি-সহ আরও একাধিক মামলায় রাজ্যের শাসকদলে নেতানেত্রীদের নাম জড়িয়েছে। রাজ্যের পক্ষ থেকে প্রথমে সিট গঠন হলেও, পরে একাধিক মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। তার পরই নাম জড়ায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), বর্তমান শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী, অনুব্রত মণ্ডল-সহ একাধিক প্রথমসারির তৃণমূল নেতার তথা মন্ত্রীদের।
তবে এদের মধ্যে দুটো মামলায় নাম জড়িয়েছে একমাত্র অনুব্রত মণ্ডলেরই। এই দুটি মামলারই তদন্তে রয়েছে সিবিআই (CBI)। একুশের বিধানসভা ভোটের আগেই গরু পাচার মামলায় নাম জড়ায় অনুব্রত মণ্ডলের। আর নির্বাচনের পরেই ভোট পরবর্তী হিংসা মামলাতেও নাম সামনে আসে বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের।