বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ দুপুরে পদত্যাগ করেছেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা। ওনার পদত্যাগের পর নবান্নে রাজ্যের মন্ত্রীসভার বৈঠক ছিল। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) লক্ষ্মীরতন শুক্লার প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, ‘লক্ষ্মী খুব ভালো ছেলে। ও পদত্যাগ করতে পারে। ওঁর চিঠি পেয়েছি, সেই চিঠিতে মন্ত্রীত্ব নিয়ে কিছুই বলা হয়নি।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সবরকম পদ থেকে ও অব্যাহতি চায় বলে চিঠিতে লিখেছে। আমি রাজ্যপালকে এই নিয়ে চিঠি লিখব।”
মুখ্যমন্ত্রীর কথায় এটা বোঝা গিয়েছে যে, লক্ষ্মীরতন শুক্লা চিঠিতে মন্ত্রীত্ব ছাড়ার কথা বলেন নি, উল্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সন্মান রেখে তিনি ওনাকেই বলেছেন তাকে যেন মন্ত্রীসভা থেকে অপসারণ করে দেওয়া হয়। আরেকদিকে, আবারও আজকের নবান্নে মন্ত্রীসভার বৈঠক এড়ালেন রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সকালে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সাথে বৈঠক ছিল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের, সকালের সেই বৈঠকও এড়িয়ে যান তিনি। এরপর বিকেলের ক্যাবিনেট বৈঠকেও অনুপস্থিত ছিলেন তিনি।
সুত্রের খবর অনুযায়ী, শরীর খারাপের জন্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সাথে বৈঠকে থাকতে পারবেন না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ এই নিয়ে তিনি চারটি বৈঠকে অনুপস্থিত রইলেন। বারবার ওনার মন্ত্রীসভার বৈঠকে অনুপস্থিত থাকা নিয়ে জোর জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও বিগত কিছুদিন ধরে তিনি দলীয় কর্মসূচিতেও অংশ নিচ্ছেন না। বলাই বাহুল্য ওনার এহেন কাজ বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা আরও উস্কে দিচ্ছে।
আরেকদিকে, আজ বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে ক্যাবিনেট বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন রাজ্যের আরও চারজন মন্ত্রী। ওই চারজন মন্ত্রী হলেন অরুপ রায়, সুজিত বসু, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং গৌতম দেব। সুজিত বসু আর পার্থ চট্টোপাধ্যায় কলকাতার বাইরে থাকায় আজ বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন নি বলে জানা গিয়েছে।
আরেকদিকে, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে গৌতম দেব উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতায় আসেন না। তাই তিনি বৈঠকে অংশ নিতে পারেন নি। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত গৌতম দেবকে আপাতত ছাড় দিয়ে রেখেছেন। তবে ভাবাচ্ছে মন্ত্রী অরুপ রায়ের অনুপস্থিতি। তবে তিনি অভিযোগ করে বলেছেন যে, আজ যে ক্যাবিনেট বৈঠক সেটা তিনি জানতেনই না।