বাংলাহান্ট ডেস্ক : গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) বিরুদ্ধে ৩৫ পাতার চার্জশিট দাখিল করল সিবিআই (CBI)। সেই চার্জশিটে রয়েছে কেষ্টর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হিসাবও। শুক্রবার সকালে আসানসোলের আদালতে এই মামলায় যে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, সেখানে একাধিক জায়গায় তৃণমূলের দাপুটে নেতার সম্পত্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। চার্জশিটে বলা আছে ১৮ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট এবং ৫৩টি দলিলের কথা। পাশাপাশি অনুব্রতর নামে চার্জশিটে প্রায় ২৫টি বেনামি দলিলের কথাও উল্লেখ রয়েছে।
সিবিআই-র চার্জশিটে কেষ্টর চালকলের কথাও উল্লেখ রয়েছে। মোট তিনটি চালকলের কথা বলা হয়েছে। চালকলগুলির নামে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্যও সামনে এনেছে সিবিআই। গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর গ্রেফতারের পরই তদন্তকারী আধিকারিকরা দাবি করেন, অনুব্রতর নামে একাধিক সম্পত্তির হদিস পেয়েছেন তাঁরা। তদন্তে নেমে বীরভূমের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত একাধিক চালকলে তল্লাশি চালান সিবিআই আধিকারিকরা। ওই চালকলগুলির সঙ্গে অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে বলেও দাবি করা হয়।
কলকাতা ও বীরভূমে অনুব্রতর প্রয়াত স্ত্রী ছবি মণ্ডল এবং কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের নামে একাধিক সম্পত্তির হদিয় পায় সিবিআই। তাঁর কোনও বেনামি সম্পত্তি নেই, একথা সংবাদমাধ্যমের সামনে অবশ্য একাধিক বার বেশ ফলাও করেই দাবি করেন তৃণমূল নেতা।
সিবিআই-র ৩৫ পাতার চার্জশিটে অনুব্রতের নামে একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০৯, ১২০বি, ৪২০, ৭,৯, ১১, ১২, ১৩(২), ১৩(১)(ডি) ধারা উল্লেখ করেছে সিবিআই। অনুব্রতের দেহরক্ষী সহগল হোসেনের সঙ্গে গরু পাচার-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের সঙ্গে নিয়মিত ফোনে কথা হত বলেও চার্জশিটে বলা হয়েছে।
গ্রেফতারের ৫৭ দিনের মাথায় অনুব্রতের নামে শুক্রবার চার্জশিট দিল সিবিআই। শুক্রবার সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে বিচারক রত্না রায়ের এজলাসে অনুব্রতের নামে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। এ নিয়ে মোট তিনটি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম চার্জশিট দেওয়া হয়েছিল। সেই চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসাবে মোট ১২ জনের নাম রয়েছে।
Made in India