মাওবাদী সাফাই অভিযানে মিলল ব্যপক সফলতা, গ্রে-হাউন্ড বাহিনীর অপারেশনে নিকেশ ৬ সন্ত্রাসী

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মাওবাদীদের (maoist) ডেরার খোঁজ মিলতেই, শুরু হয় অভিযান। ছত্তিশগড়-তেলেঙ্গানা (chhattisgarh telangana) সীমান্তে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে শুরু হয় তুমুল গুলির লড়াই। গুলির লড়াইয়ে নিহত হয় ছয় জন মাওবাদী। তবে কোন নিরাপত্তারক্ষী মারা যায়নি বলেই জানা গিয়েছে।

এই অভিযানের ফলে লাল সন্ত্রাস দমনে বড়সড় সাফল্য মিলল। তবে ছয় জন মাওবাদী নিহত হলেও, থামানো হয়নি তল্লাশির কাজ। বিশাল পুলিশ বাহিনী ওই এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে।

সূত্রের খবর, তেলেঙ্গানা-ছত্তিশগড় সীমান্তে কিস্তরাম থানা এলাকার জঙ্গলে গোপন সূত্রে মাওবাদীদের খোঁজ পাওয়া যায়। আর তারপরই দেরি না করে অভিযানে নামে নিরাপত্তারক্ষীরা। তেলেঙ্গানা-ছত্তিশগড়ের পুলিশ ও সিআরপিএফয়ের একটি যৌথবাহিনী একত্রে এই অভিযান শুরু করে।

সঙ্গে মাওবাদী দমনের জন্য তেলেঙ্গানা পুলিশের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গ্রে-হাউন্ড বাহিনীও এই অভিযানে অংশ নেয়। পুলিশ ওই এলাকায় পৌঁছাতেই গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। ওদিক থেকে গুলি আসতে দেখে পাল্টা আক্রমণ করে নিরাপত্তারক্ষীরা।

বেশকিছুক্ষণ সংঘর্ষের পর ৬ জন মাওবাদীকে নিকেশ করতে সক্ষম হয় নিরাপত্তারক্ষীরা। তবে এই ঘটনার পরবর্তীতে তেলেঙ্গানার ভদ্রদরি কথাগুদেম জেলার পুলিশ সুপার সুনীল দত্ত জানান, এই ঘটনায় কোন নিরাপত্তারক্ষীর প্রাণহানি হয়নি।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মধ্যে কেন্দ্র সরকার সমস্ত মাওবাদীদের সম্পূর্ণ নির্মূল করার পরিকল্পনা নিলেও, বিশেষজ্ঞদের মতে তেলেঙ্গানা, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে নিজেদের শক্তি বাড়াচ্ছে মাওবাদীরা। সুকমা, দান্তেওয়াড়া, গড়চিরৌলি এলাকাগুলোতে বাড়ছে মাওবাদীদের দৌরাত্ম্য। অন্যান্য প্রান্তে নকশালপন্থীদের দৌরাত্ম্য কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও, এইসকল এলাকায় এখনও স্বমহিমায় বিরাজ করছে মাওবাদীরা।

X