একুশের ভোটের আগে ৬২৭ কোটির বন্ড ক্রয়! তৃণমূলকে দান? কলকাতার শিল্পপতিকে নিয়ে রহস্য

বাংলা হান্ট ডেস্ক : সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bond) সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতার খ্যাতনামা শিল্পপতি মহেন্দ্র কে জালান (Mahendra K Jalan) এবং তার পরিবারের সাথে যুক্ত চারটি সংস্থা ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৪ এর জানুয়ারি পর্যন্ত ৬১৯.৯২ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড কিনেছে। তামিলনাড়ুর লটারি ফার্ম ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস পিআর এবং মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচারস লিমিটেডের পরেই জায়গা করে নিয়েছে এই সংস্থাটি।

কে জালানের গ্রুপ অফ কোম্পানিগুলির মধ্যে, কেভেনটার ফুডপার্ক ইনফ্রা লিমিটেড ১৯৫ কোটি টাকার ২০৪টি বন্ড ক্রয় করেছে, মদনলাল লিমিটেড ১৮৫.৫ কোটি টাকার ১৯৯টি বন্ড ক্রয় করেছে। এমকেজে এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড ১৯২.৪২ কোটি টাকা মূল্যের ৩২৪টি বন্ড ক্রয় করেছে এবং সাসমল ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ৪টি বন্ড ক্রয় করেছে।

এখানে বলে রাখা ভালো, কেভেনটার ফুডপার্ক এবং মদনলাল বেশ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এই বন্ডগুলি ক্রয় করেছিল। পশ্চইমবঙ্গ ২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনের মাঝামাঝি অর্থাৎ ১৬ এপ্রিল ৫৫কোটি, ৭মে ৭৫ কোটি টাকা, ৮মে কেভেনটারের মাধ্যমে ৬৫ কোটি টাকা এবং ৮ মে ১১০ কোটি এবং ১০ মে মদনলাল লিমিটেডের মাধ্যমে ৭৫ কোটি টাকা আদানপ্রদান হয়। অর্থাৎ বাংলার বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন তারা মোট ৩৮০ কোটি টাকার বন্ড কিনেছিল।

আরও পড়ুন : ভোট ঘোষণার আগে জাতির উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা মোদীর! লিখলেন খোলা চিঠি

যদিও কোন দল এই বন্ডগুলি ভাঙিয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ বন্ডের ক্রমিক নম্বর এখনও প্রকাশ করা হয়নি। ওদিকে তৃণমূলের রিপোর্ট বলছে, ঘাসফুল শিবির ১৬ এপ্রিল ১৭ কোটি টাকা, ২২ এপ্রিল ৭৫ লক্ষ টাকা, ৮ মে ৫ কোটি টাকা, ১৪ মে ২৭.৮ কোটি এবং ২২ মে ১ কোটি টাকা ক্যাশ করা হয়েছে। অর্থাৎ ২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় নির্বাচনী বন্ডের তহবিল থেকে মোট ৫১.৬ কোটি টাকা ক্যাশ করেছে তৃণমূল।

আরও পড়ুন : ‘PoK ভারতের অংশ, ওখানকার হিন্দুরা আমাদের, মুসলিমরা …’ অমিত শাহের মন্তব্যে পাকিস্তানে ঝড়

ক্রমিক নম্বর প্রকাশ না করায় এম কে জালালের এই টাকা কোন খাতে গেছে তা স্পষ্ট নয়। তবে এই শিল্পপতিকে একাধিকবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে। আর এসব থেকেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা দু’য়ে দু’য়ে চার করছেন যে এই টাকা তৃণমূলের কোষাগারে জমা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। উল্লেখ্য যে, এমকে জালান হলেন, এমকেজে গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর। দুধ, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতেও ভালো দখল রয়েছে তার। এছাড়াও একাধিক ব্যবসা রয়েছে তার।

 

 

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর