স্বয়ং করোনা ভাইরাস হারাতে পৃথিবীতে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে অনেক সাধারণ মানুষ। তার মধ্যে ভারতে একজন হলেন মায়া শর্মা। ইনি রাজস্থানের জয়পুর শহরের বাসিন্দা। এতো বেশি বয়স হওয়া সত্ত্বেও সে দিনরাত খেটে গরীব মানুষের জন্যে এখনও অবধি তিনি সাতশো থেকে আটশো মাস্ক বানিয়ে ফেলেছেন।
করোনা ভাইরাস ত্রাস এখন সবাইকে দিন রাত আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস ইতিমধ্যে মৃত্যু দূত হয়ে এসে পৌঁছেছে পৃথিবীতে। প্রায় সব দেশ এখন করোনা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। আর সবাই এখন স্বেচ্ছায় গৃহ বন্দী।
তিনি জানান আমরা সবসময়ই আমাদের মাকে অন্যকে সাহায্য করতে দেখেছি। তার স্বভাব এমন যে তার যদি দশ টাকা থাকে এবং অভাবী কেউ যদি এসে আট টাকা চায় তবে সে তখনি টাকা দিয়ে দেবে এবং তার কাছে থাকা মাত্র ২ টাকায় সংসার চালাবে। এর আগেও মায়া অনেক গরীব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাদের সাহায্য করার জন্যে সোয়েটার বানিয়েছে শীতকালে যাতে গরিব মানুষগুলো কষ্ট না পায় সেই খেয়াল রেখেছে। অথচ
মায়া কোথাও থেকে সেলাই শেখেনি, বা কোনও কোর্সও গ করেনি। তিনি কেবল এটি পর্যবেক্ষণ করেই এই সমস্ত কাজ সে শিখে ফেলে। পঁচিশ তারিখ লক ডাউন হওয়ার পর অনেক কষ্টে ঘরে থাকা কাপড় দিয়ে মাস্ক বানানো হয়। আর তখন অনেক প্রতিবেশী তাদের কাপড় দিয়ে সাহায্য করে। আর সেই দিয়ে মাস্ক বানানো সম্ভব হয়। এক মিটার কাপড় থেকে প্রায় আঠেরো থেকে কুড়িটা মাস্ক তৈরি করা হয়। আর এই কাপড় ভালো করে ধুয়ে সাফ করেছে তারপরে নিয়মিত মেশিনে দিয়ে মাস্ক বানানো হয়।