বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা ভোটের কাজ নিয়ে মোটামুটি প্রত্যেক সরকারি কর্মচারীই এখন ব্যস্ত। আগামী ৪ জুন ফলাফল প্রকাশের পর সেই চাপ অনেকটা কমবে। তবে তার আগেই মিলল বেতন বৃদ্ধির সুখবর! বর্তমানে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা ষষ্ঠ বেতন কমিশনের অধীনে ডিএ তথা মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance) পান। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সপ্তম বেতন কমিশন অনুসারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন বাড়ানোর বিষয়ে ইতিবাচক তিনি।
তাঁর জমানাতেই রাজ্যে ষষ্ঠ বেতন কমিশন চালু হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভোট বাক্সে এর প্রভাব চখে পড়েনি। তা নিয়ে খানিক হতাশা ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister)। কিছুটা আক্ষেপের সুরেই বলেন, রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য ১০,৬০০ কোটি টাকার বোঝা নিলেও, সরকারি কর্মীদের (Government Employees) তরফ থেকে পাল্টা সমর্থন আসেনি।
এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর গলায় খানিক আক্ষেপের সুর শোনা গেলেও তিনি জানিয়েছেন, এর জন্য কিন্তু সপ্তম বেতন কমিশন চালু হওয়া থেকে আটকাবে না। বরং সম্প্রতি কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া জানিয়েছেন, সপ্তম বেতন কমিশন চালু করে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের বেতন বাড়ানোর বিষয়ে ইতিবাচন তিনি। বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে শোনা গেলেও, কবে থেকে বর্ধিত বেতন মিলবে, সেই বিষয়ে কিছু জানাননি মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ ‘আমার কাছে ব্রহ্মাস্ত্র আছে’! হুঙ্কার অভিষেকের, ঠিক কীসের কথা বললেন তৃণমূল প্রার্থী?
ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, বর্তমানে দেশজুড়ে লোকসভা নির্বাচন চলছে। ভোট মিটে গেলেই হয়তো এই নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এদিকে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের দাবি অনুসারে সপ্তম বেতন কমিশন চালু করার জন্য একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছিল। সেই কমিটির তরফ থেকে সরকারি কর্মচারীদের বেসিক স্যালারি ২৭.৫% বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যদি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করা হয় তাহলে এক বছরে সরকারের কোষাগার থেকে আরও ১৭,৪৪০.১৫ কোটি টাকা খরচ হয়ে যাবে।
এসবের মাঝেই আবার উক্ত রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা আবার পুরনো পেনশন ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার দাবি তুলেছেন। ২০০৬ সালের ১ এপ্রিল কিংবা তার পরে চাকরিতে নিযুক্ত হওয়া কর্মচারীরা বর্তমানে নতুন পেনশন ব্যবস্থার অধীনে আছেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পুরনো পেনশন ব্যবস্থা যদি চালু করা হয় তাহলে রাজ্যের কোষাগারে আরও চাপ পড়বে। তাই বিষয়টি নিয়ে বুঝেশুনে এগোতে চাইছে কর্ণাটকের সরকার।
অন্যদিকে সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরে রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে ৮০,৪৩৪ কোটি টাকা খরচ হয়ে যাবে। এবার পেনশনের জন্য খরচ হবে প্রায় সাড়ে ৩২ হাজার কোটি টাকা। ভর্তুকি দিতে কোষাগার থেকে আরও ২৫,৯০৪ কোটি টাকা খরচ হয়ে যাবে। এছাড়া সুদ বাবদ গুনতে হবে প্রায় ৩৯,২৩৪ কোটি টাকা।