বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলায় বাড়ছে মেডিক্যাল কলেজ (Medical College)। অন্তত ৮টা নতুন মেডিক্যাল কলেজ যোগ হচ্ছে বাংলার মানচিত্রে। ইতিমধ্যেই সেই বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাড়পত্র মিলেছে। সূত্রের খবর, দেড় বছর আগে রাজ্য সরকারের তরফে নতুন মেডিক্যাল কলেজ (New Medical College) স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি চেয়ে কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানানো হয়েছিল। অবশেষে সেই আর্জিতে সায় দিয়েছে দেশের মেডিকেল শিক্ষার এবং চিকিৎসকদের শীর্ষ নিয়ন্ত্রক সংস্থা National Medical Commission বা NMC.
তালিকায় রয়েছে, পুরুলিয়ার ভারত মেডিকেল কলেজ, খড়্গপুরের ডাঃ বিসি রায় মাল্টি স্পেশালিটি মেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টার, অশোকনগরের এমআর ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স, বর্ধমানের ইস্ট-ওয়েস্ট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স, নিউ টাউনে পিকেজি মেডিক্যাল কলেজ, রানাঘাটের মন্দাকিনি ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স, কৃষ্ণনগরের ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স ও রঘুনাথগঞ্জের জাকির হোসেন মেডিক্যাল কলেজ।
সূত্রের খবর, নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকে এই সব মেডিক্যাল কলেজ শুরু হবে। অন্যদিকে বাংলার ৭টি মেডিক্যাল কলেজে আসন সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তাতেও সায় মিলেছে। সেগুলি হল, বহরমপুরের মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ইংরেজবাজারের মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, দুর্গাপুর আইকিউ সিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ইএসআই হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ জোকা, যাদবপুর কে পি সি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং দুর্গাপুরেরই সনকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
মেডিক্যাল কলেজ চলুর পাশাপাশি আসন সংখ্যা বাড়ানো হলে আরও ডাক্তারি ছাত্র ছাত্রীরা সেখানে সুযোগ পাবেন। ডাক্তারি পড়ার সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। সূত্রের খবর, নতুন করে মেডিক্যাল কলেজগুলি চালু হলে বাংলায় মেডিক্যাল কলেজের সংখ্য়া দাঁড়াবে ৪৪টি আর সব মিলিয়ে এমবিবিএস আসনের সংখ্য়া ৬০০০ পেরিয়ে যেতে পারে। এর ফলে বিরাট সুবিধা হতে চলেছে ছাত্র-ছাত্রীদের।
আরও পড়ুন: গরম কাটিয়ে আজ বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গের ৭ জেলায়, কলকাতা কী ভিজবে? আবহাওয়ার খবর
গোটা বাংলা জুড়ে একের পর এক মেডিক্যাল কলেজ খোলার তোড়জোড় শুরু হলেও সেই তালিকায় নেই উত্তরবঙ্গ। যে তালিকা মিলেছে সেখানে একটি মেডিক্যাল কলেজও উত্তরবঙ্গের নেই। কেন এমন সিদ্ধান্ত, এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নানা দিক থেকে বঞ্চনার অভিযোগ তোলে উত্তরবঙ্গের মানুষজন। এবার মেডিক্যাল কলেজের তালিকা থেকে উত্তরবঙ্গকে বাইরে রাখায় অসন্তোষ আরও তীব্র হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।