বাংলা হান্ট ডেস্ক : এক জনের মৃত্যুর বদলা নেওয়া হল ৯০ জনকে খুন করে! পাকিস্তানের পেশোয়ারে মসজিদে আত্মঘাতী হামলার পর এই হুঙ্কার দিল তেহরিক-এ-তালিবান পাকিস্তান বা টিটিপি (TTP)। সোমবার মসজিদে প্রার্থনার সময় ভয়ংকর হামলা চালায় টিটিপির বোমারু জঙ্গি। সেই ঘটনায় নিহত হন ৯০ জন। আহত অন্তত ৫০ জন।
হামলার পর এর দায় স্বীকার করে টিটিপি জঙ্গি সংগঠন। এরই সঙ্গে তারা বার্তা দেয়, এই হামলা হল উমর খালিদ খুরাসানির মৃত্যুর বদলা। টিটিপির এই হামলার পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, কে এই খুরাসানি? জানা যাচ্ছে, টিটিপির কমান্ডার ছিলেন খুরাসানি। ২০২২-এর অগস্টে পাকিস্তান সেনার গুলিতে নিহত হন তিনি। পাকিস্তানের স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, দাদার মৃত্যুর বদলা নেওয়ার জন্য দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে হামলার প্রস্তুতি চালাচ্ছিল তার ভাই মুকর্রম। সোমবার মসজিদে হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল তারই।
খুরাসানির আসল নাম আব্দুল আলি মহম্মদ। করাচির এক মাদ্রাসায় পড়াশোনা করার সময় জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেয়। প্রথমে সে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন হরকত-উল-মুজাহিদিনে যোগ দিয়েছিল। এই জঙ্গি দলটি প্রধানত কাশ্মীরে এলাকায় সক্রিয় ছিল। এর কিছুদিন পর টিটিপিতে যোগ দেয় সে। কাশ্মীরেও নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিল খুরাসানি।
২০১৪ সালে টিটিপির শাখা সংগঠন জামাত-উল-আহরারের প্রতিষ্ঠা করে সে। এই জঙ্গি সংগঠনটি মূলত আমজনতা, সংখ্যালঘু এবং সেনা জওয়ানদের উপর হামলা চালাত। জামাত-উল-আহরার পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশ থেকে জঙ্গিদের কার্যকলাপ চালিয়ে যেত। বহু হামলার সঙ্গে জড়িত এই সংগঠনটি।
২০১৬ সালে গুলশন-ই-ইকবাল বিনোদন পার্কে হামলা চালায় এই সংগঠন। যে ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ৭০ জনেরও বেশি মানুষের। খুরাসানির উপর নজরদারি চালাচ্ছিল আমেরিকাও। ২০১৮ সালে আমেরিকা খুরাসানির মাথার দাম রেখেছিল ৩০ লক্ষ ডলার। ২০২২ সালের অগস্ট মাসে আফগানিস্তানের পাকটিকা এলাকায় খুরাসানির কনভয়ে বোমা হামলা চালায় পাক সেনা। সেই হামলাতেই মৃত্যু হয় তার।