গিলগিট-বালতিস্তান ভারতের অভিন্ন অংশ, আবার ভারতের সাথে জুড়বে: গিলগিট-বালতিস্তানের নেতা।

গিলগিট বালটিস্তানকে ভারতের অংশকে বলে দাবি করে পাকিস্তানের মুখে ঝামা ঘষে দিলেন। পাকিস্তান জম্মু-কাশ্মীরের বিষয়টি আন্তর্জাতিক ফোরামে উত্থাপনের জন্য নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও সর্বত্র অসফলতার মুখোমুখি হতে হয়েছে।  এখন পাকিস্তান জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের কাছে (UNHRC) জম্মু ও কাশ্মীরের মামলাটি তুলেছে, যেখানে গিলগিত বালতিস্তানের নেতা সেনজ সেরিং এবং গিলগিট-বালটিস্তানের অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ওয়াজাহাত হাসান পাকিস্তানকে কঠোর জবাব দিয়েছে। গিলগিট বালটিস্তানের সামাজিক কর্মী সেনজ সেরিং জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ অপসারণের ভারতের সিদ্ধান্তকে ন্যায়সঙ্গত বলেছেন । তিনি বলেন যে ৩৭০ অনুচ্ছেদটির জন্য জম্মু ও কাশ্মীরের কিছু লোকের হাতে বিশেষ শক্তি প্রদান করেছিল। যা মানুষকে জাতিগত ও ধর্মীয় গোষ্ঠীর উপর ভেটো শক্তি দিয়ে আতঙ্কবাদ ছড়াতো।

জানিয়ে দি গিলগিট বাল্টিস্তান ভৌগোলিক দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি ভারতকে বিদেশী আক্রমন থেকে রক্ষা করতে হয় তবে এই এলাকাটি ভারতের অন্তর্ভুক্ত করা অতি আবশ্যক। শুধু এই নয়, এখানে খনিজ কাঁচামাল এর বিশাল ভান্ডার রয়েছে। যার জন্য চীন ওই এলাকাটিকে দখল করার পরিকল্পনাও করেছিল। ৩৭০ এর জন্য যেইসব লোকেরা এতে লাভবান হতো যারা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহযোগী হয়ে কাজ করতো। এই জাতীয় লোকেরা জম্মু ও কাশ্মীরে পাকিস্তানের কৌশলগত স্বার্থ প্রচার করছিল।

   

সাথেই জিনেভাতে UNHRC এর ৪২ তম অধিবেশনে সেনজে সেরিং বলেন যে গিলগিট বাল্টিস্তান ভারতের অংশ। এছাড়াও UNHRC অধিবেশনকে সম্বোধন করে গিলগিত-বালটিস্তানের অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ওয়াজাহাট হাসান বলেছিলেন, “পাকিস্তান বলেছে যে পুরো জম্মু ও কাশ্মীরই একটি বিতর্কিত অঞ্চল” ” সুতরাং সেখানে গণভোট হওয়া উচিত।কিন্তু সর্বোপরি, কীভাবে পাকিস্তান দাবি করতে পারে যে জম্মু ও কাশ্মীর একটি বিতর্কিত অঞ্চল ” কর্নেল ওয়াজাহাট হাসান বলেছিলেন যে গিলগিট-বালতিস্তানকে দীর্ঘদিন ধরে কাশ্মীরের ককপিটে রাখা হয়েছিল। এখন মানুষ গিলগিত-বালতিস্তানের গুরুত্ব সম্পর্কে জানে না এবং এটিকে জম্মু ও কাশ্মীরের সাথে যুক্ত করে।

সম্পর্কিত খবর