পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়তে চলেছে। কারণ যে রাজীব কুমারের জন্য মমতা ব্যানার্জী ধর্ণায় বসেছিলেন তার পেছনে হাত ধুয়ে নেমে গেছে CBI টিম। সারদা চিট ফান্ড মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (CBI) কলকাতার প্রাক্তন কমিশনার রাজীব কুমারের লোকেশন পেয়েছে। সিবিআইয়ের একটি দল কলকাতার সিজিও কমপ্লেক্স থেকে লোকেশনটির উদেশ্য রওনা দিয়েছেন। রাজীব কুমার শিগগিরই গ্রেপ্তার হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজীব কুমারকে শেষ শুক্রবার দেখা গেছিল যখন উনাকে আদালত শেষবার জামিনের রক্ষাকবচ দিতে রাজি হয়নি। এরপর থেকে রাজীব কুমার নিখোঁজ রয়েছেন। CBI লাগাতার খোঁজ চালাচ্ছে। রাজীব সম্পর্কিত তথ্য চেয়ে সিবিআই পুলিশ রাজ্যের মহানির্দেশক বীরেন্দ্রকে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি লিখেছিল।
এর জবাবে তিনি বলেছিলেন যে কুমার তার আইনজীবীর মাধ্যমে জানিয়েছিলেন যে 25 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি ছুটিতে আছেন এবং তার পর থেকে রাজীব কুমারের সাথে কোনও যোগাযোগ হয়নি। তবে সিবিআই রাজীব কুমারের লোকেশন খুঁজে পেয়েছে এবং একটি সিবিআই দল কলকাতার সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে পড়েছে লোকেশনে এর উদেশ্যএ । অন্য দলটি কলকাতায় রাজীব কুমারের 34 পার্ক স্ট্রিটের বাসভবনে নজর রেখেছে। রাজীব কুমার যে কোনও সময় গ্রেপ্তার হতে পারে, সিবিআই দল রাজীব কুমার সম্পর্কিত পাঁচটি জায়গায় অভিযানও চালাচ্ছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ডিজিকে মেল করে রাজীব কুমারের বর্তমান নাম্বার চালু কিনা সেই ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়েছে। তদন্তের জন্য রাজীব কুমারের সাথে যোগাযোগ করা প্রয়োজন তাই তার নাম্বার যেন মেল করে জানানো হয়। CBI এর প্রায় ৫ টি টিম বেরিয়ে পড়েছে রাজীব কুমারকে খোঁজার জন্য। রুবির কাছে এক ৫ তাঁরা হোটেল থেকে শুরু করে অলিপুরে রাজীবের মেস সহ পুরো কলকাতায় তন্ন তন্ন করে রাজীব কুমারকে খুঁজতে বেরিয়েছে সিবিআই টিম।
প্রসঙ্গত স্মরণ করিয়ে দি, রাজীব কুমারকে সিবিআই যখন প্রথম জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়েছিল তখন কলকাতায় নাটকীয় ঘটনা ঘটেছিল। কলকাতা পুলিশ CBI টিমকে বাধা প্রদান করেছিল এবং জোর করে গাড়িতে তুলে রাজীবের বাড়ির সামনে থেকে অন্যত্র করেছিল। এক প্রকার দাদাগিরি করা হয়েছিল CBI আধিকারিকদের সাথে। শুধু এই নয় সিজিও কমপ্লেক্স থেকে যাতে CBI এর টিম বেরোতে না পারে তাই পুলিশ সিজিও কমপ্লেক্সকে পুলিশ দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছিল। এরপর কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ জওয়ান নামিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সকে মুক্ত করতে হয়েছিল।
এরপর আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী CBI তদন্তের বিরোধিতা করে ধর্ণায় বসে পড়েছিলেন। সেই সময় সিবিআই এর কাজে বাধা দেওয়ার প্রসঙ্গে মমতা ব্যানার্জীকে অনেক সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। তবে যাইহোক এখন সিবিআই এর কাছে আদালতের পুরো নির্দেশ আছে এবং CBI টিম নেমে পড়েছে রাজীব কুমারকে খুঁজে বের করার জন্য। কিছুদিন আগে যেভাবে পি চিদাম্বরমকে বের করেছিল ঠিক সেইভাবে এখন রাজীব কুমারের খোঁজ চলছে।