বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার রাজীব কুমারের খোঁজ করতে ভবানী ভবনে তলব করল CBI আধিকারিকরা। কিন্তু অভিযোগ, প্রোটোকল অনুযায়ী আধিকারিকদের ‘অনুমতি না নিয়েই’ ঢুকে যায় CBI-এর দলটি। তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। প্রায় এক ঘণ্টা সেখানে ছিল তারা।
গতকালের পর আজও রাজীব কুমারের খোঁজ পেতে তৎপর CBI । উত্তরপ্রদেশের চন্দৌলিতে রাজীবের বাড়িতে যায় CBI-এর একটি টিম। নিজের বাড়িতেই তিনি আত্মগোপন করেছেন কি না তা জানার জন্যেই সেখানে যাওয়া বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর।
উল্লেখ্য প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে গোয়েন্দারা অভিযোগ এনেছেন যে সারদা কাণ্ডের তথ্যপ্রমাণ লোপাট করেছে রাজীব। সিবিআই আইনজীবীরা তাকে গ্রেফতার করতে চাওয়ার কারণ হিসেবে আদালতের কাছে প্রতিবার বলেছেন এই কথা।
উল্লেখ্য, রাজীব কুমারের খোঁজ না পাওয়া গেলেও আড়ালে-আবডালে থেকেই পুলিশি গ্রেফতারি এড়ানোর চেষ্টা করে চলেছেন কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। রাজীবের আইনজীবী শুক্রবার আলিপুর আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানান। সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে সেকথা জানিয়েও আসেন।
বৃহস্পতিবার, আলিপুর আদালত রায় দিয়ে জানিয়েছে, রাজিব এর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে তার করা অপরাধের যথেষ্ট সাক্ষী প্রমাণ রয়েছে। তাই এখন কোনো পরোয়ানা ছাড়াই, সিবিআই নিজের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে, তদন্তের স্বার্থে তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে, এ ব্যাপারে কোনো রকম কেউ নাক গলাতে পারবেন না।
রাজীব কুমার প্রসঙ্গে সোমেন মিত্র বলেন, ‘রাজ্য সরকারের বহু প্রভাবশালী নেতারা এই সারদা মামলায় দিনের পর দিন জেল খেটেছেন। এমনকি রাজীব কুমারকে বাঁচাতে ধর্মতলা ধরনায় বসেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তিনি যদি ধরা পড়েন তাহলে দলের অনেক তাবড় তাবড় নেতা মন্ত্রীদের রাজনৈতিক জীবনই শেষ হয়ে যাবে এবং শুধু তাই নয় সরকারের অস্তিত্ব নিয়েও প্রশ্ন দেখা দেবে। এখন সিবিআই যেভাবে এগোচ্ছে তাতে ওকে মেরে ফেলা ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই। সেই জন্যই আমাদের ভয় হচ্ছে, ওকে মেরে না দেয়।’