কলকাতা যেতে পারে সমুদ্রের জলের নীচে, বলছে রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট

বাংলা হান্ট ডেস্ক : লাগাতার হারে বাড়ছে বিশ্ব উষ্ণায়ন। আর তার জেরে জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে, আর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে কোথাও খরা আবার কোথাও বন্যা হচ্ছে। অনাবৃষ্টি আর অতিবৃষ্টি দেখা যাচ্ছে ভারতের বিভিন্ন অংশে। শুধু ভারত নয় এই সমস্যায় ভুগছে গোটা বিশ্ব। আর বিশ্ব উষ্ণায়নের অন্যতম কারণ হিসেবে দায়ী করা হচ্ছে দূষণকেই। তবে বিশ্ব উষ্ণায়নের লাগামছাড়া মাত্রা নিয়ন্ত্রনে আনতে বিশ্বনেতারা বৈঠক করে চলেছেন। কিন্তু তাতেও ফলপ্রসু হচ্ছে না। আর তাই উষ্ণায়নের জেরে মানব প্রজাতির ধ্বংস অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন পরিবেশবিদরা।

এরই মাঝে রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে উঠে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে এই উষ্ণায়নের ফলে পৃথিবীর 45টি শহর রয়েছে বিপদের মধ্যে। মেরু প্রদেশে বরফ গলে যাবার ফলে এই সমস্ত শহরগুলি ভেসে যাবে সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাসে। আর সেই 45 শহরের মধ্যে সবথেকে বেশি বিপদের মুখে পড়তে পারে লকাতা, মুম্বই, সুরাত ও চেন্নাই।

GlobalWarming HERO
Canada, Nunavut Territory, Repulse Bay, Polar Bear (Ursus maritimus) swimming beside melting iceberg near Arctic Circle on Hudson Bay

রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী যেভাবে, প্রতি বছর বছর উষ্ণায়ন বাড়ছে তাতে একদিকে যেমন হিমালয়ের বরফ গলে সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে অন্যদিকে আবার সাগর মহাসাগরের জলের স্তরও বাড়ছে। তাই বিপদসীমার মধ্যে পড়ছে এই শহরগুলি। আর এই জলস্তর বৃদ্ধির জন্য 2100 শতকের মধ্যে বিশ্বের 140 কোটি মানুষের জীবনেও ঘনিয়ে আসবে বিপদ। বলছে রিপোর্ট।

চলতি সপ্তাহের বুধবার, ওসান এন্ড ক্রিস্পেয়ার শিরোনামে প্রকাশিত ওই রিপোর্টের মাধ্যমে জানা গিয়েছে যদি প্রতি বছর সমুদ্রের জল 50 সেমির মতো বাড়ে তাহলেই কয়েক বছর পর দেশের ওই জনবহুল 45 শহর জলের নীচে চলেযাবে। বর্তমানে যে ভাবে উষণায়ন বাড়তে তাতে প্রতি বছর জলস্তর বাড়ছে, যেখানে আগে 100 বছর অন্তর জলস্তর বাড়তে দেখা যেত। আর এতেই চিন্তায় পড়েছেন পরিবেশ বিদরা।

তাই পরিবেশ বিদদের মতে, যদি জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে না সতর্ক হওয়া যায় সেক্ষেত্রে 110 সেমি অবধি জলস্তর বাড়বে। আর 2100সালের মধ্যে তাপমাত্রা 6 ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাবে। আর উপকূল বর্তী এলাকাগুলি যাবে জলের নীচে। আর সেই তালিকাতেই রয়েছে শহর কলতাতা। এছাড়াও চিন, ভারত, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যার অর্ধেক সমুদ্রের তলায় চলে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল।

 

সম্পর্কিত খবর