বাংলাহান্ট ডেস্ক: শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন কাশ্মীরে মুসলমানরা অত্যাচারিত হচ্ছে। শুধু কাশ্মীর নয় চীনের উইঘুর মুসলমানরা অত্যাচারিত হচ্ছে বলে দাবি করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সবসময় দাবি করেছেন কাশ্মীরের মুসলমানরা অত্যাচারিত হচ্ছে। এবং ভারত জম্মু কাশ্মীর দখল করে তার ধারণা জম্মু কাশ্মীরের মুসলমানদের ওপর ভারত সরকার অত্যাচার চালাবেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বড় বড় মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি নিজের চিন্তা ভাবনার প্রমাণ দিয়েছে। এদিন তিনি এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে দাবি করে ভারত সরকার কাশ্মীরে মুসলিমদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে। বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি অত্যাচারিত মুসলিমদের একজোট হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
অন্যদিকে কাল জাতিসংঘে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্য রাখেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। জাতিসংঘের মঞ্চে দাঁড়িয়ে খোলাখুলিভাবে ভারতের নাম নিয়ে রীতিমতো হুমকির সুরে কথা বলেন ইমরান।
ইমরান খান এদিন জাতিসংঘের বক্তৃতায় হুমকির সুরে বলেন, ‘ আমি কোনো হুমকি দিচ্ছি না। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহলকে ভাবতে হবে তারা ১৩০ কোটির বাজারকে তোষণ করবেন, না নিরীহ নিরপরাধ নাগরিকের পাশে থাকবেন। দুটি পরমাণু শক্তিধর দেশ যদি যুদ্ধ করে কার প্রভাব কিন্তু গোটা বিশ্বে পড়বে।’
শুধু এই নয় ইমরান খান জাতিসংঘের মঞ্চে দাঁড়িয়ে ভারতকে খতম করে দেওয়ার হুমকি দেয়।ইমরান খান ভারত কে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘জম্মু কাশ্মীর থেকে কারফিউ না তুললে রক্তবন্যা বইবে।’ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এর আগে এয়ার স্ট্রাইক এর কথা স্বীকার না করলেও জাতিসংঘের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেন, ভারতের হামলায় দশটা গাছ ছাড়া কোনো কিছুরই ক্ষতি হয়নি। ভারতের এক পাইলট ধরা পড়লেও আমরা তাকে মুক্তি দিয়েছি। কিন্তু মোদি সরকার ১৫০ জন জঙ্গী মারা গেছে বলে ভোটের সময় ভারতে অপপ্রচার চালিয়েছেন।
এর আগেও ইমরান খান ভারতকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়েছেন।ভারত সরকার জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ করেন। তারপর থেকে ভারতের সাথে সব রকম সম্পর্ক শেষ করেছিল পাকিস্তান।এমনকি পাকিস্তান ভারতের সাথে কুটনৈতিক ও বাণিজ্যিক যুক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কথায় কথায় ভারতকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। কিন্তু এবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কাশ্মীর মুসলিমদের ভারতের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক কথাবার্তা বলছে যার ফলে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে ভবিষ্যতে।