বাংলা হান্ট ডেস্ক : সেপ্টেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমেরিকা সফরের আগে নয়াদিল্লিতে তাঁর সাথে সাক্ষাত্ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন দাবি দাওয়াকে কেন্দ্র করে একটি বৈঠক সারেন মুখ্যমন্ত্রী৷ রাজ্যের একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্রের আর্থিক অনুদান সহ রাজ্যের বিভিন্ন খাতে উন্নয়নের প্রসঙ্গ উঠে আসে ওই বৈঠকে৷ মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে বাংলার বকেয়া প্রকল্প গুলির কথা শুনে কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক বাংলায় এসে সমস্যা মেটাবে বলেই আশ্বস্ত করেছেন মোদী৷
জানা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস পাওয়ার পর রাজ্যের অর্থসচিবের তরফ থেকে 41000 কোটি টাকার বকেয়া পেতে একটি দাবিপত্র পাঠানো হয়েছে পাশাপাশি জানা গিয়েছে শীঘ্রই কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্য এ বিষয়ে আলোচনায় বসবে৷ শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছ থেকেই নয় বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকেও বাংলার ন্যায্য পাওনা মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, কিন্তু ন্যায্য পাওনার নামে যদি ফায়দা লুঠতে চায় তাহলেই তাঁর সুযোগ কখনোই দেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন অমিত শাহ৷
বন্যা নিয়ন্ত্রণ সেচ বাঁধ সংস্কার শিক্ষকদের বেতন পুলিশের আধুনিকীকরণ হলদিয়ার ড্রেজিং স্বচ্ছ ভারত মিশন ছিটমহলের পরিকাঠামো অমৃত প্রকল্প সহ একাধিক প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকার কেন্দ্রের কাছ থেকে আর্থিক অনুদান চেয়েছে৷ এ ছাড়া কোনও আরতি অনুদান চাওয়া হয়নি বলে দাবি রাজ্যের অর্থ দফতরের কর্তারা৷ বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য দামোদর রূপনারায়ণ সুবর্ণরেখা কংসাবতী তিস্তা তোর্সা জলঢাকা নদীর ওপর বন্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে তার জন্য এবং তিস্তা প্রকল্পের সংস্কারের জন্য কেন্দ্রের থেকে টাকা চাওয়া হয়েছে বলে রাজ্যের অর্থ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে৷
একই সঙ্গে অন্ডাল বিমানবন্দরকে কলকাতার বিকল্প বিমানবন্দর হিসেবে গড়ে তোলারও দাবি জানানো হয়েছে৷ অন্য দিকে বীরভূমের দেউচা পাঁচামি কয়লা খনির আংশিক উত্তোলনের অনুমোদন এবং কয়লা খনির জমি বিকল্প ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছে নবান্ন৷ তবে জানা গিয়েছে শুধুমাত্র বকেয়া আর্থিক দাবিই নয় রাজ্যের বেশ কিছু নীতিগত সিদ্ধান্তের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সাহায্য চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷