বাংলা হান্ট ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ জিয়াগঞ্জে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কেন্দ্রের কাছে পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি জানাল। রাজ্যের বর্তমান অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভিএইচপি-র আন্তর্জাতিক কার্যকরী সভাপতি আলোক কুমার, তিনি বলেন, ”পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন নেই। বিরোধীশূন্য করতে তাণ্ডব, লুঠ, ধর্ষণ ও হত্যালীলা চালানো হচ্ছে।”
কিন্তু এটাই যে প্রথম তা নয় এর আগেও বেশ কয়েকবার এমনকি কয়েক বছর ধরেই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করে আসছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির এই দিকটিকেই তুলে ধরে আলোক কুমার বলেন,”পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির ব্যাপারে কেন ভাবছে না কেন্দ্রীয় সরকার! ভারতের সংবিধান বাঁচাকে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সময় এসে গিয়েছে।” বর্তমানে বাংলার পরিস্থিতি কেরলের থেকেও খারাপ বলে জানিয়েছেন অলোক কুমার। তিনি বলেন, বাংলা এখন কেরল কে ছাড়িয়ে গেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কে হেনস্থা করা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়। আগামী নির্বাচনে তৃণমূলকে এর জবাবে সাধারণ মানুষই দেবে।”
অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বেলডাঙায় তিনি বলেন,”কার উপরে ভরসা করবে মানুষ? আইনশৃঙ্খলা বলে আর কিছু নেই। থাকলে তো উন্নতি অবনতি হয়! সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত।” শুধু দিলীপ ঘোষ নয় এই ঘটনায় ক্ষোভ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষোভপ্রকাশ করে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়েছেন।
অন্যদিকে আবার তৃণমূল দাবি জানিয়েছে, এই জিয়াগঞ্জের খুন পারিবারিক বিবাদের জেরেই ঘটেছে, এর ওপর রাজনৈতিক রং লাগিয়ে অশান্তি ছড়াতে চাইছে বিজেপি ও আরএসএস। এ প্রসঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন,”উত্তরপ্রদেশে যে অরাজকতা চলছে, তা থেকে নজর ঘোরাতেই রাজ্যপালের এই মন্তব্য। মুর্শিদাবাদের ঘটনাটি একটি পারিবারিক ঘটনা। তা নিয়ে এত অপপ্রচার কেন? বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে ধামাচাপা দিতেই রাজ্যপালকে আসরে নামানো হয়েছে।”