বাংলা হান্ট ডেস্ক : প্রায় দু মাস আগেই ভারতে পেঁয়াজের দাম লাগাতার হারে বৃদ্ধি পেয়েছিল৷ আজ ক্রয় করতে গিয়ে রীতিমতো নাজেহাল হতে হয়েছিল দেশবাসীকে৷ তাই ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে লাগাম টানে , ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলেই তার প্রভাব গিয়ে পড়ে পড়শি দেশ বাংলাদেশের ওপর৷ কারণ সেখানে ইতিমধ্যেই আকাশছোঁয়া দাম হয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য পেঁয়াজের৷ যদিও ইতিমধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর তরফে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ জানানো হয়েছিল কিন্তু তাতেও কয়েক মাস ধরে লাগাতার হারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় যথেষ্টই চিন্তিত বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহল৷
তবে এবার বোধহয় সেই চিন্তা খানিকটা কমতে শুরু করেছে৷ কারণ এ বার মিশর ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজের আমদানি শুরু হবে ফলে দাম যে অনেকটাই কমবে তা আশা করা যাচ্ছে৷ বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই মিশর ও তুরস্ক থেকে অনেক পেঁয়াজের চালান আসবে তাই পেঁয়াজের মূল্য অনেকটাই কমবে৷ এমনিতেই পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশের আমদানি কারকদের জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ সরকার৷
স্থলপথ ও বন্ধুর পথ গুলিতে যাতে সহজেই এবং খুব তাড়াতাড়িই পেঁয়াজ আমদানি করা যায় তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷ এবং সেই পেঁয়াজ যাতে মায়ানমার থেকে সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে ছড়িয়ে যায় তার জন্যও নজর দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার৷ যেহেতু ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায় তাই দেশের সুবিধার্থে বাংলাদেশ সহ পাকিস্তান শ্রীলঙ্কা নেপাল ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলি ইজিপ্ট তুরস্ক চিনের মুখাপেক্ষী হয়েছে৷