বাংলা হান্ট ডেস্ক : “হিন্দু না ওরা মুসলিম ঐ জিজ্ঞাসে কোনজন কান্ডারি বলো ডুবিছে মানুষ সন্তান মোর মার” সম্প্রীতি শব্দটা আজ সহসা যেন আমাদের অভিধানে ঝাপসা হয়ে উঠেছে । সজন স্বদেশ সব যেন দুস্তর ব্যবধান সরে যাচ্ছে। দূরে নিজের বলতে এখন হাতের কাছে যা পায় তা হলো একটা বিষ মাখানো চুরি আর হিংসার প্রতিবেশ। মৌলবাদের দানবীয় আস্ফালনে টলমল করছে আমাদের সংহতির বুনিয়াদ। যে চিন্ময়ী জন্মভূমিকে আমরা এতদিন ভুবন মোহিনী রূপে দেখেছি তা আজ ভাতৃঘাতী দাঙ্গায় রক্তাক্ত। ক্ষতবিক্ষত ভারত বর্ষ নানা ভাষা নানা মত এর দেশ। তবু বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য স্থাপন করে অতি প্রাচীনকাল থেকেই এদেশে বিশ্বের দরবারে স্বতন্ত্র আসনে প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু ধর্মাচরণ জীবনযাত্রা ও আচার সংস্কারে যে মৌল পার্থক্য ছিল তা থেকেই সম্প্রদায়গত বিভেদ সৃষ্টি হল।
এখানেই যেন ভারতীয় রাজনীতিতে একটা নয়া মোড় একদিকে আরএসএস অন্যদিকে অন্য বিরোধীদের সংগঠন যেন এক সম্মুখ সমরে দাঁড়িয়ে। কিন্তু যদি পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির দিকে লক্ষ রাখা যায় তবে দেখা যাবে শুধু ভারতের রাজনীতি নয় পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে জাতীয়তাবাদ এক বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর সেখানেই বড় একটা সংখ্যায় যেন কাটছে আরএসএস। অনেকেই বলতেই পারে যে বিজেপি আরএসএস এর অন্যতম এক শাখা সংগঠন। কিন্তু তারা তা মানতে নারাজ। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যেখানে সিপিএম অর্থাৎ বামফ্রন্ট আমলে বাড়বাড়ন্ত চোখে পড়ার মতোই ছিল না সেখানে তৃণমূল আমলে আরএসএস এর নাম এবং সংখ্যা দুটোই যেনো এক ভূমিকায় অবস্থান করছে।
সংগঠনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখন দক্ষিণবঙ্গে ১২৩৫টি শাখা রয়েছে। মিলন রয়েছে ১৪০২টি। সপ্তাহন্তে কাজ করে মিলন। শাখাগুলো প্রতিদিন কাজ করে। ২০১৮ সালে এই শাখা ছিল ১১০০-র মধ্য়ে। মিলন ছিল ১৩০০। দক্ষিণবঙ্গে সব মিলিয়ে ৪৭ শতাংশ সদস্য় বৃদ্ধি পেয়েছে।
এখানেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে সাধারণ বুদ্ধিজীবী রাজনীতিবিদদের কপালে। সামনেই উপনির্বাচন। আর এই উপনির্বাচনে আরএসএস এর মূল সংগঠন কিভাবে পশ্চিমবঙ্গে দানা বাঁধে এবং তা নির্ণায়ক শক্তি হিসেবে দাঁড়ায় তাই এখন দেখার বিষয়।