শনিবার সন্ধে আটটা নাগাদ ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছিল পশ্চিমবঙ্গের গাঙ্গেয় উপকূলবর্তী এলাকায়৷ বকখালিতে আজ সেই পড়ার পর রাজ্যজুড়ে ব্যাপক তাণ্ডব দেখিয়েছে ঘূর্ণিঝড়৷ তবে যতটা ক্ষতির আশঙ্কা করা হয়েছিল ততটা না হলেও দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা লন্ডভন্ড করে দিয়েছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আর তার জেরে এখনও অবধি রাজ্যে প্রাণ হারিয়েছেন 9 জন!
শনিবার রাতে ঘূর্ণিঝড়ের কবলে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় মারা গিয়েছে 6 জন বাকি দুজনের মৃত্যু হয়েছে কালনা ও নন্দীগ্রামে এবং আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে কলকাতার বুকে৷ শনিবার রাতে তাণ্ডব চালিয়ে রাত এগারোটা নাগাদ বাংলাদেশের অভিমুখে যাত্রা শুরু করেছিল বুলবুল, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় ইতিমধ্যেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে৷
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বসিরহাট হিঙ্গলগঞ্জ নোদাখালির এলাকাগুলিতে বুলবুলের প্রভাব পড়েছে৷ অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরে বুলবুলের দাপটে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে মারাত্মক জখম হন এক ব্যক্তি, হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় অন্যদিকে হিঙ্গলগঞ্জে মাটির ঘর চাপা পড়ে মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির৷ নোদাখালীতে জলমগ্ন ঘরে টিভি সুইচ অন করতে গিয়ে বিদ্যুত্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন এক কিশোর৷
বালিগঞ্জে গাছ চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক জনের৷ উল্লেখ্য ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব মোকাবিলার জন্য অনেক আগে থেকেই রাজ্য প্রশাসনের তরফ থেকে আঁটসাঁট ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, সুন্দরবনের প্রায় দেড় লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় এছাড়াও উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে বারবার সতর্কতা বার্তা জারি করা হয়েছিল৷ এ ছাড়াও রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় গাছ উল্টে কিংবা বিদ্যুতের খুঁটি উল্টে বিদ্যুত্ বিচ্ছিন্ন হয়েছে৷