বাংলা হান্ট ডেস্ক : সম্প্রতি আসা ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুন্দরবন কাকদ্বীপ সন্দেশখালি পূর্ব মেদিনীপুর সহ সমস্ত উপকূলবর্তী এলাকা। এখনো পুরোপুরি বুলবুলের রেশ কাটিয়ে উঠতে পারেনি সকলে। গতকালই আকাশপথে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কিছু জায়গা ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকালই বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ২ লক্ষ টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এর মধ্যেই দেখা মিলল ঘূর্ণবর্তের।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুল যে ঘূর্ণাবর্ত থেকে সৃষ্টি হয়েছিল তার নাম ছিল ‘মাতমো’। এর উৎস স্থল ছিল দক্ষিণ চীন সাগর। এইখান থেকেই ছিটকে গিয়ে তৈরি হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল যার ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল উপকূলবর্তী অঞ্চলে।এর জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলার বেশ কিছু অঞ্চল। এর মধ্যেই আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, একই ধরনের আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে হচ্ছে দক্ষিণ চীন সাগরেই যার নাম ‘নাকরি’।
যথেষ্ট শক্তিশালী এই ঘূর্ণবাত ধীরে ধীরে এগোচ্ছে ভিয়েতনামের দিকে। ভিয়েতনামের উপকূলে ভারী বৃষ্টিপাত ঘটনার পর কিছুটা হলেও শক্তি কমে যাবে এই নিম্নচাপটির। এরপর দক্ষিণ থাইল্যান্ড অতিক্রম করে মায়ানমারের দক্ষিণ ভাগে এসে পৌঁছাবে এই নিম্নচাপ ততক্ষণে শক্তি।
ধীরে ধীরে আরও কমে যাবে এই ঘূর্ণাবর্তের শক্তি। তবে মায়ানমারের পর ফের বঙ্গোপসাগরে আসবে এই ঘূর্ণিঝড় এবং আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা, বঙ্গোপসাগর থেকে ফের নিজের শক্তি সঞ্চয় করতে পারে এই ঘূর্ণাবর্ত। যদি এমনটা হয়, তাহলে ফের বিপদ রয়েছে ভারতের দক্ষিণ ভাগে। কিন্তু এই ঝড় কবে পৌঁছাবে তা এখনো সঠিকভাবে বলা সম্ভব হয়নি আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে।