বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) শিবসেনা, কংগ্রেস (Congress) আর এনসিপি জোট করে সরকার গড়ছে। শিবসেনা প্রধান উদ্ভব ঠাকরে আগামী কাল মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন। আর এর মধ্যে খবর আসছে যে, কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা কেরলের কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul gandhi) নতুন সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন না।কিছুদিন আগেও যখন শিবসেনা আর কংগ্রেসের মধ্যে জোট হওয়ার কথা ছিল, তখনও রাহুল গান্ধী এসব থেকে নিজেকে দূরে রেখেছিলেন। শুধু তাই নয়, কেরল কংগ্রেস শিবসেনার সাথে জোট করা নিয়ে আপত্তিও জাহির করেছে। আর এর জন্য ওয়ানাড (Wayanad) এর সাংসদ রাহুল গান্ধী শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান থেকে নিজেকে দূরে রাখছেন।
প্রসঙ্গত, শিবসেনার তরফ থেকে বলা হচ্ছে যে, তিন দলের বড় নেতাদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হবে। কিন্তু কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীর এখনো পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে যাওয়ার কোন খবর নেই। আরেকদিকে খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, কংগ্রেসের অন্তরিম সভাপতি সনিয়া গান্ধীকে (Sonia gandhi) শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar) নিজে যাবেন। শিবসেনা প্রধান উদ্ভব ঠাকরে ২৮ নভেম্বর মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন। শোনা যাচ্ছে যে, ২৮ নভেম্বর সন্ধে ৬ঃ৩০ নাগাদ উনি মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন। ঠাকরে রাজ্যের শীর্ষ রাজনৈতিক পদে পৌঁছান নিজের পরিবারের প্রথম সদস্য হতে চলেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) আদেশের পর মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক অস্থিরতা একদম খতম হয়ে যায়। সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে (Devendra Fadanvis) নির্দেশ দেয় যে, উনি যেন বুধবার সন্ধে ৫ টার মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করেন। কোর্ট জানায়, সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করায় দেরি করলে ‘ঘোরা কেনা বেচা” এর আশঙ্কা থেকে যায়।
আরেকদিকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করার জন্য বিধায়কদের একজোট করার চেষ্টা করার আগেই এনসিপি বিধায়ক অজিত পাওয়ার উপ মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেন। এরপর দেবেন্দ্র ফড়নবিশ প্রেস কনফারেন্স করে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন। ফড়নবিশ বলেন, অজিত পাওয়ার নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর ওনার কাছে আর সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই।