বাংলাহান্ট ডেস্ক: রাজনীতিতে যোগ দিতে চলেছেন শ্রী রেড্ডি। না কোনও ছবির চরিত্র্র জন্য নয়, বাস্তব জীবনেই এমনটা করতে চলেছেন তিনি। দক্ষিণের এই অভিনেত্রীর জীবনের অঙ্গই হল বিতর্ক। তিনি খুব ভালভাবেই জানেন সেগুলোকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে সংবাদ শিরোনামে থাকতে হয়। ২০১৮ সালের ৭ এপ্রিল হায়দ্রাবাদের একটি তেলুগু ফিল্ম অফিসের সামনে অর্ধনগ্ন হয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন শ্রী রেড্ডি। ইন্ডাস্ট্রির কাস্টিং কাউচের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন তিনি। টলিউড ও কলিউড ইন্ডাস্ট্রির বেশ কয়েকজন তারকার বিরুদ্ধেও তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ করার অভিযোগ এনেছিলেন তিনি।
এবার শ্রী রেড্ডি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজনীতিতে যোগ দেবেন। গরীব মানুষের সেবার করার জন্যই তাঁর এমন সিদ্ধান্ত বলে জানান তিনি। খুব তাড়াতাড়িই রাজনীতির মঞ্চে নামতে চলেছেন তিনি, এমনটাই নাকি তাঁর ইচ্ছা। সম্প্রতি এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই ঘোষনা করেন শ্রী রেড্ডি। সেখানেই তিনি এও জানান যে কলিউডের অভিনেতা ও প্রযোজক উদয়নিধি স্ট্যালিনের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগই করেননি তিনি।
প্রসঙ্গত, শোনা গিয়েছিল উদয়নিধি নাকি শ্রী রেড্ডিকে একটি চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও কথা রাখেননি। সেই কারণে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান শ্রী রেড্ডি। কিন্তু এইদিন সাংবাদিক সম্মেলনে অভিনেত্রী জানান, তাঁর নামে নাকি অনেকগুলো ভুয়ো অ্যাকাউন্ট রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। উদয়নিধির বিরুদ্ধে তাঁর কোনও অভিযোগই নেই।
উদয়নিধি আরও জানান, মধ্যপ্রদেশে সাংসদ হওয়ার জন্য নির্বাচনে লড়ার এক প্রস্তাব এসেছিল তাঁর কাছে। কিন্ত তিনি তা ফিরিয়ে দেন। অনেকেই জানেন যে, শ্রী রেড্ডি হলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টির প্রেসিডেন্ট ওয়াই এস জগনমোহন রেড্ডির একজন বড় ভক্ত। প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর প্রশংসা করতে দেখা গিয়েছে শ্রী রেড্ডিকে। তাই অনেকেই অনুমান করেছিলেন জগনমোহন রেড্ডির দলের হয়েই নির্বাচনে লড়বেন অভিনেত্রী।