বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিনোদন জগত রঙিন জগত। অনেকে বলেন, এই জগতে যেমন রয়েছে সফলতার চাবিকাঠি তেমনই রয়েছে অন্ধকার জগতের হাতছানি। সেই হাতছানি এড়াতে না পেরে অনেকেই হারিয়ে গিয়েছেন আঁধারে। বিনোদন জগতের সঙ্গে যৌন ব্যবসার নাম জড়িয়েছে অনেকবার। অনেক জনপ্রিয় অভিনেত্রীর নামেই মধুচক্রে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযোগ, আবার অনেকেই অস্বীকার করেছেন।
জাতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী শ্বেতা বসু প্রসাদের মধুচক্রে জড়িত থাকার বিষয়ে অনেকেই ওয়াকিবহাল। ২০১৪ সালে হায়দ্রাবাদের একটি হোটেল থেকে যৌন ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে শ্বেতাকে গ্রেফতার করে পুলিস। অবশ্য এখন সেসব অতীত ভুলে নতুন করে সবকিছু শুরু করেছেন তিনি। শিশুশিল্পী হিসাবে ‘মাকড়ি’ ছবির জন্য জাতীয় পুরষ্কার পেয়েছিলেন শ্বেতা বসু প্রসাদ।
জনপ্রিয় তামিল অভিনেত্রী সঙ্গীতা বালনের বিরুদ্ধেও উঠেছিল যৌন ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ। ২০১৮ সালে জানা যায়, অভিনয়ের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে তিনি মধুচক্র চালিয়ে এসেছেন। পুলিস অভিযান চালিয়ে চেন্নাইয়ের পানায়ুড়ের একটি রিসর্ট থেকে ভিন রাজ্যের যৌনকর্মীদের উদ্ধার করে। সঙ্গীতার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ ওঠে অভিনয়ে সুযোগ দেওয়ার নাম করে দরিদ্র মেয়েদের এই চক্রে নিয়ে আসা হত।
অভিনেত্রী শার্লিন চোপড়ার বিরুদ্ধেও উঠেছিল অভিযোগ। কিন্তু তিনি নিজেই স্বীকার করেন মধুচক্রে জড়িত থাকার কথা। তাঁর কথায়, ছবিতে সুযোগ না পাওয়ায় এইভাবে রোজগারের ব্যবস্থা করেন তিনি। আরশি খান সম্পর্কেও অভিযোগ ওঠে ভারতে মধুচক্র চালানো নিয়ে। কিন্তু তিনি তা অস্বীকার করে বলেন তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। তিনি কোনওদিনই এসবে জড়িত থাকেননি।