চিতাবাঘের মাংস রান্না করে পিকনিকে মহাভোজ সারল গ্রামবাসীরা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাঘে মানুষ খায়! কিন্তু কখনও শুনেছেন কি এ সভ্যতার মানুষ বাঘকে খায়?  হ্যাঁ, একেবারে সত্যি ঘটনা । অসমের গুয়াহাটিতে এমন ঘটনাই ঘটেছে ।  কিন্তু এমন নৃশংস ঘটনা ঘটলই বা কি করে! একজন পূর্ণ বয়স্ক চিতাবাঘকে মেরে তার মাংস রান্না করে খেল গ্রামবাসীরা ।

leopard

মজাদার পিকনিক করল গুয়াহাটির বাসিন্দারা।  নিঃসন্দেহে এক ব্যতিক্রমী ঘটনার সাক্ষী থাকল গুয়াহাটির দিল্লিবাড়ি গ্রামের বাসিন্দারা । অসম-নাগাল্যন্ড সীমান্তে হাতি মেরে খাওয়ার ঘটনা কিংবা গণ্ডার মেরে খাওয়ার ঘটনা শোনবা যায় । কিন্তু চিতাবাঘ মেরে তার মাংস খাওয়ার ঘটনা একেবারেই নজিরবিহীন । এমন ঘটনায় বনদফতর থেকে পশুপ্রেমী সংগঠনগুলি একেবারে হতবাক হয়ে পড়েছে । যেখানে বাঘ বা বন্যপ্রাণী বাঁচানোর জন্য নানারকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, সেখানে প্রকাশ্যে বাঘ মেরে খেয়ে ফেলা হল ।

সূত্রের খবর, অসমের অটল রঙঢালি এলাকায় বেশ কয়েকজনের উপর হামলা চালায় চিতাবাঘটি । বাঘটিকে ধরার চেষ্টা করলে  নদী পেরিয়ে পালিয়ে অন্যত্র । দিল্লিবাড়ি গ্রামে ঢুকে সেখানেও হামলা চালায় । এরপরই গ্রামবাসীরা লাঠিসোটা নিয়ে বাঘটির উপর চড়াও হয় । কিছুক্ষণের চেষ্টায় তাকে পাকড়াও করা সম্ভব হয় । এরপর তাকে বনদফতরের হাতে তুলে না দিয়ে নৃশংসভাবে হত্য়া করা হয় । আর তাতেই ক্ষান্ত হয়নি গ্রামবাসীরা । সেই মরা বাঘের মাংস দিয়ে চলে দেদার পিকনিক ।

ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে পশুপ্রেমীদের মধ্যে । বনদফতর সূত্রে খবর, ২০১৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত অসমে প্রায় ২০০ চিতাবাঘ হত্যা করা হয়েছে । বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাঘেরা যখন  খাবার খুঁজতে লোকালয়ে বেরিয়ে আসে, মানুষের হাতে পাকড়াও হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাদের ।

 

 

 

সম্পর্কিত খবর