বাংলাহান্ট ডেস্কঃ গত কাল সমস্ত দেশজুড়ে বেড়েছে গ্যাসের দাম। বুধবার দাম বাড়ার পর কলকাতায় সিলিন্ডারের দাম হবে ৮৯৬ টাকা, মুম্বাইতে ৮২৯.৫০, দিল্লিতে ৮৫৮.৫০ টাকা এবং চেন্নাইতে ৮৮১ টাকা। এই দাম বৃদ্ধির সাথে সাথেই আরো বাড়তে চলেছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের বাজার মূল্যও।
জানা যাচ্ছে, চলতি বছরের মুদ্রাস্ফীতি ছ’বছরের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে খুচরো বাজারে মুদ্রাস্ফীতি ৭.৫৯ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। গতকাল এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১৪৯ টাকা বেড়ে গিয়েছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই আশঙ্কার কালো মেঘ দেখছেন সাধারন মানুষ।
সকারী তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, আরবিআইয়ের বিপদ মাত্রাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে এ বছরের মুদ্রাস্ফীতি। ২০১৯ সালের প্রথমে মুদ্রাস্ফীতি ৫.৫৪ শতাংশ ছিল সেটা অনেক খানি বেড়ে যায় ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। ২০১৮ সালে ডিসেম্বর মাসে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ২.১১ শতাংশ। সবজি থেকে তেল, গ্যাস সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি এই মুদ্রাস্ফীতির কারণ বলে মনে করছে অর্থনীতিবিদদের একটা বিরাট অংশ। এনআরসি(NRC), সিএএ(CAA)-র ডামাডোলে দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে কারো মাথাব্যাথা নেই বললেই চলে।
দেশের বিরোধীদের মত, অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদি সহ শাসক দলের নেতা নেত্রীরা ঠিক এমনটাই চেয়েছিলেন। তারা ধর্মের নামে দেশ বাসীকে উস্কে দিয়ে দেশের অর্থনীতির দুর্বলতাকে ঢাকতে চেয়েছিলেন। নভেম্বরের তুলনায় ৩৫ শতাংশ বেড়ে বর্তমানে সব্জির মুদ্রাস্ফীতি ৬০.৫ শতাংশ। সার্বিক ভাবে যা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পক্ষ জারি করা থেকে ৪ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির সীমা পার করে গিয়েছে।