বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মারণরোগ করোনা ভাইরাস (COVID-19) চীন (Chaina) ছাড়িয়ে বিভিন্ন দেশের ছড়িয়ে পড়েছে। চীন, ইতালি এবং আমেরিকার পর এই রোগ সবথেকে বেশি বিস্তার লাভ করেছে ইউনাইটেড কিংডমে (UK)। প্রায় ১৯ হাজারেরও বেশি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন UK তে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং প্রিন্স চার্লসও এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। UK এর বিশিষ্ট মানুষরা করোনায় আক্রান্ত হবার পর, UK এর অধিবাসীরা এখন ভয়ানক রকম আতঙ্কে রয়েছেন। এই কারণে এখন UK চীনের উপর প্রবলভাবে ক্রদ্ধ রয়েছে।
এবার UK বাসী চীনের উপর প্রাণঘাতী রোগ ছাড়ানোর জন্য দোষারোপ করতে শুরু করে দিয়েছে। UK এর আধিকারিকদের মতে, চীন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লুকিয়ে যাচ্ছে। এবং এই আক্রান্তদের সংখ্যা প্রকাশ করা সংখ্যার থেকে ৪০ গুণ বেশি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে বরিস জনসন সরকারের তিনজন আধিকারিক তাঁদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এই আধিকারিকদের মধ্যে একজন বলেছেন, ‘এরপর থেকে আমরা চীনের সঙ্গে সমস্তরকম রাজনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে ভেবে দেখব’। আরও এক আধিকারক বলেন, চীনের বিরুদ্ধে তাঁদের এই ক্রোধ শীর্ষস্তরে পৌঁছে গেছে।
ব্রিটিশ সরকার বর্তমানে চীনের বিরুদ্ধে এতটাই ক্রদ্ধ হয়েছেন যে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তাঁদের দেশে ব্যবসা করা চিনী কোম্পানি ‘ভাবে’ কে দেশ থেকে 5G নেটওয়ার্ক স্থাপিত করার অনুমতি ফিরিয়ে নিতে পারেন। UK এর আধিকারিকদের ক্রদ্ধ হওয়াটা স্বাভাবিক। কারণ চীনের উহান প্রদেশ থেকে আগত এই ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার পরও চীনের কমিউনিস্ট সরকার এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া মানুষের তালিকা লুকিয়ে যাচ্ছে।
করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সবকিছু জানা সত্ত্বেও ২৫ জানুয়ারিতে চীন নববর্ষের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। যার জেরে এই মারোণরোগ প্রবলভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এই কারণেও UK চীনের উপর ভীষণভাবে ক্রদ্ধ রয়েছে। এমনকি WHO ও স্বীকার করছে যে চীন তাঁদের চিকিৎসকদের এই ভাইরাসের বিষয়ে বিশ্বকে জানাতে বারণ করেছিল।
অপরদিকে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে বিশ্বকে প্রথম যে ডাক্তার সচেতন করে, সেই ডাক্তারের হঠাৎ মৃত্যু হয়ে যায়। এছাড়াও করোনা ভাইরাস সম্বন্ধে যেসব ডাক্তাররা অবগত ছিলেন, তাঁদেরকেও তাঁদের পরিবারের থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়। এই অবস্থায় অন্য একটি দেশ কিভাবে বিশ্বাস করবে যে, করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করার জন্য চীন তাদেরকে সাহায্য করবে।