করোনা বিরুদ্ধে লড়াইতে বিশ্বের সমস্থ দেশকে আর্থিক প্যাকেজ দেওয়ার কথা বলল ফিফা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা (Corona) মোকাবিলায় সবাই নিজের নিজের মত করে এগিয়ে এসেছে। সেই জায়গা থেকে বাদ গেল না ফিফা। এই কঠিন পরিস্থিতিতে বিশ্ব ফুটবলকে বাঁচাতে এগিয়ে এল ফিফা (FIFA)। জানিয়ে দিল, অর্থের অভাব নেই। এই মুহূর্তে মুখ থুবড়ে পড়লেও বিশ্ব ফুটবলকে টেনে তোলার ক্ষমতা তাদের আছে।

outbreak coronavirus world 1024x506px

ক’দিন আগে সাতবারের স্লোভাক চ্যাম্পিয়ন এমএসকে জিলিনা নিজেদের দেউলিয়া বলে ঘোষণা করেছে। উরুগুয়ের মতো দেশের ফুটবল ফেডারেশনের প্রায় চারশো স্টাফের চাকরি যাওয়ার মুখে। কিছুদিন আগে জুভেন্তাস, বার্সেলোনার (Juventus, Barcelona) ফুটবলাররা জানিয়েছে তাদের চুক্তির অর্থ দিতে হবে না। মেসিরা (Leo Messi) ছেড়েছেন ৭০ শতাংশ চুক্তির অর্থ। রোনাল্ডোরা (Cristiano Ronaldo) চার মাস বেতন নেবেন না বলে জানিয়েছেন। এখন বিশ্বের ধনী লিগ ধরা হয় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগকে। সেই লিগে খেলা ক্লাবগুলো আগামী শুক্রবার ফুটবলারদের বেতন কতটা কাটা হবে তা নিয়ে আলোচনায় বসবে। এই ঘটনা বলছে, চারিদিকে ফুটবলারদের উপর কোপ পড়ছে। আবার উলটো ছবিও আছে। অনেক দেশে ফুটবলাররা নিজেদের বেতন কাটতে দিতে রাজি নন। সুইজারল্যান্ডের ( Switzerland)  এফসি সিওন ক্লাবের ন’জন ফুটবলার সরাসরি বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। জানিয়েছেন, তাঁদের বেতনে হাত দেওয়া চলবে না। কলম্বিয়ার ক্লাবগুলো ফুটবলারদের বেতন কাটা নিয়ে জনমত সংগ্রহ করতে নেমে পড়েছে। সব মিলিয়ে করোনা ভাইরাস নিয়ে সাধারণ মানুষ যতটা আতঙ্কিত, তার চেয়ে কোনও অংশে পিছিয়ে নেই ফুটবলাররাও।

corona 222222

অ্যাগনেলির এই আবেদনের কারণে শুধু নয়, ফিফা কর্তারা উপলব্ধি করতে পারছেন বিশ্ব ফুটবল আজ কোথায় দাঁড়িয়ে! তাই অভয় দিয়ে জানিয়েছে, “আপনারা ভেঙে পড়বেন না। অর্থের অভাব নেই ফিফার। শীঘ্রই এই নিয়ে আলোচনায় হবে। তারপর আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা হবে।” শোনা যাচ্ছে ফিফা প্রায় ৬ মিলিয়ন ডলার নিয়ে ২১১টি ফেডারেশনকে সাহায্য করার কথা ভাবছে। আগামী চার বছর সাহায্য করার ভাবনা নাকি শুরু করে দিয়েছে।

corona index 2003171712

FIFA পরিচালন পর্ষদ ঠিক করেছে, ছ’টা কনফেডারেশন কর্তাদের নিয়ে আলোচনায় বসা হবে। ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি গুরুতর বলে উল্লেখ করে ফিফার কাছে চিঠি পাঠিয়েছে ইউরোপিয়ান ক্লাব অ্যাসোসিয়েশন। জুভেন্তাসের প্রধান আন্দ্রেয়া অ্যাগনেলি সংস্থার প্রধান। তাঁর আবেদনপত্রে তুলে ধরা হয়েছে ভয়ংকর পরিস্থিতির কথা। “ইউরোপের ক্লাবগুলোর সামনে এখন অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। স্থবির হয়ে গিয়েছে ফুটবল। ফুটবলার থেকে শুরু করে ক্লাবের স্টাফদের কীভাবে বেতন দেওয়া হবে কেউ জানে না। ফুটবলের মতো এত বড় ইন্ডাস্ট্রিকে ধরে রাখা নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছি। আশা করি আপনারা আমাদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসবেন।”

 

সম্পর্কিত খবর