বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাস (COVID-19) চীনে শুরু হলেও ধীরে ধীরে সমগ্র বিশ্বে নিজের প্রভাব বিস্তার করে নিয়েছে। আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে। সমগ্র বিশ্ব এখন চিন্তিত এই ভাইরাসকে নিয়ে। তবে বিশ্বের কাছে বর্তমানে সবথেকে বেশি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্রমাগত নিম্নগামী অর্থনৈতিক অবস্থা। এই অবস্থায় মোদী সরকার এক গুরুত্ব পূর্ণ পদক্ষেপ নিতে চলেছে, যা সমগ্র বিশ্বের কাছে এক উপযুক্ত দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়াবে।
ভারতে (India) লকডাউন অবস্থা জারী থাকার মধ্যেও ক্রমশ বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে এবং মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০০ ছাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারত করোনা মোকাবিলা করার পাশাপাশি ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে সুদৃঢ় করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ একসঙ্গে অনেকগুলো কাজ একবারে করেছে ভারত।
আবার মোদী সরকার এখন অন্তরাস্ট্রীয় বাজারে তেলের দাম নিম্নগামী হওয়ার সুযোগে ভারতে দেশের মধ্যেকার কোম্পনিকে কাজে লাগাচ্ছে। ভারত নিজের জরুরিকালীন প্রয়োজনের জন্য ৫৩.৩ লক্ষ টন তেলের ভাণ্ডার তৈরি করেছে। কর্নাটকের মাংলুরু এবং অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে অবস্থিত এই রিজার্ভারের মাধ্যেম জরুরিকালিন প্রয়োজনের জন্য ৯-১০ দিনের তেলের জোগান করে রেখেছে। এই রিজার্ভারগুলো ভরার জন্য ভারত সৌদি আরব থেকে তেলের আমদানি বাড়িয়ে দিয়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে তেলের প্রয়োজন কম হতে দেখা গিয়েছে। ভারতের মাংলুরু এবং বিশাখাপত্তনমের তেল রিজার্ভারের কিছু অংশ এখন খালি পড়ে আছে। যা সৌদি আরব, ইরাক থেকে তেল কিনে ভর্তি করা হবে। কারণ এখন কাচাতেলের দাম ৩০ আরব ডলার প্রতি ব্যারেলে পড়ছে।
এই পরিস্থিতিতে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সৌদি আরবের সঙ্গে কথা বলে আমদানি বাড়ানোর কথা বলেন। তাই ভারত আমদানি এবং তেলের যাতে কোন সমস্যা না হয়, তাঁর জন্য রিজার্ভার বানিয়ে রেখেছে। ভারত বিদেশি কোম্পানি গুলোকে এই শর্তে তেল রাখতে দিয়েছে, যাতে যেকোনোরকম প্রয়োজনে ভারত সেই তেল ব্যবহার করতে পারে।