করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন, চীনের দাবী দোষী আমেরিকা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের (COVID-19) কারণে চীন এবং আমেরিকার মধ্যে সংঘর্শ শুরু হয়ে গেছে। কখনও আমেরিকা (America) করোনা ভাইরাসকে চিনি ভাইরাস নামে অভিহিত করছে, তো আবার কখনও এই মারণ ভাইরাসের জন্য আমেরিকাকে দোষী বলছে চীন। এই দুই দেশের মধ্যেকার দন্ধ দেখে আসলে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি স্থল নিয়ে এখন বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে।

trump 7

আমেরিকা চীনকে এই ভাইরাসের উৎপত্তির জন্য দায়ী করছে। আবার এই ভাইরাসের অরিজিন আমেরিকায় রয়েছে বলে দাবী করছে চীন। চীন জানিয়েছে, আমেরিকার সেনারা এই ভাইরাস চীনে ছড়িয়ে দিয়েছে।

সমগ্র বিশ্ব কিন্তু এই মহামারির জন্য চীনকে দায়ি করছে। আবার অন্যদিকে, আমেরিকার এক গুপ্ত এজেন্সি মারফত জানা যায়, চীনের দুই বিজ্ঞানিকে আমেরিকার আলাদা আলাদা দুই এয়ারপোর্টে দেখতে পাওয়া গেছে। এই বিজ্ঞানিরাই সার্স এবং মার্স ভাইরাসের বিষয়ে জানত। এখন চীনে নোভেল করোনা ভাইরাসের অরিজিনের সঙ্গে যুক্ত অ্যাকাডেমিকের প্রকাশনায় নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছে। এমনকি দুই ইউনিভার্সিটিকে নোটিশ দিয়ে, তা আবার অনলাইন থেকে মুছেও দেওয়া হয়।

Xi Jinping BRICS

অন্যদিকে চীন জানায়, করোনা ভাইরাসের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত অ্যাকাডেমির কাগজপত্র পুনরায় পর্যালোচনা করে প্রকাশ করার অনুমতি দেওয়া হবে। মিডিয়া মারফত জানা যায়, জানুয়ারীর শেষ থেকেই চীন শুধার্থী অন্তরাস্ট্রীয় মেডেল জার্নালসে করোনা ভাইরাসের বিষয়ে প্রকাশ করে। চীনের বৈজ্ঞানিকদের সঙ্গে কর্মরত হংকং-এর এক মেডিকেল এক্সপার্ট জানায়, তাঁদের ক্লিনিক্যাল অ্যানালিসিসের প্রকাশে ফেব্রুয়ারীতে কোনোরূপ বাঁধা দেওয়া হয়নি।

চীনের এই ব্যবহারের উপর প্রশ্ন উঠছে, চীন কি লুকাতে চাইছে? রিসার্চ পেপারের প্রকাশের উপর যে কড়া নিয়ম জারী করেছে চীন সরকার, তার দ্বারা প্রমাণিত হয় যে করোনা ভাইরাসের অরিজিনের বিষয়ে নিজেদের আড়ালে রাখতে চীন সরকার এইসব কর্মকান্ড করছে। যাতে করে তারা করোনা ভাইরাসের সত্যতার বিষয়ে বিশ্বের কাছে গোপন করতে পারে।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর