বল, বুদ্ধি, বিদ্যা তিন শক্তি পেতে করুন ভগবান হনুমানের পূজো

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রামায়ণে মা সীতাকে উদ্ধারের জন্য মহাবলি হনুমানের (Hanuman) কথা উল্লেখ করা আছে। বানর রাজ কেশরী এবং মাতা অঞ্জনীর পুত্র রামভক্ত এই হনুমানকে আবার পবন পুত্র হিসাবেও অভিহিত হয়। সংকটমোচী হনুমানের উপাসনা করলে পরিবারের প্রতি কোনরূপ কুদৃষ্টি পড়তে পারে না। ভক্তিভরে হনুমানজীর পূজা পাঠ এবং হনুমান চল্লিশা পাঠ, জীবনে আনে সুখ সম্মৃদ্ধি।

ci 01 1514798409 1586291163

লঙ্কাধিপতি রাবণের সাম্রাজ্যে নিজ লেজ দিয়ে অগ্নি সংযোগ করেছিলেন এই মহাবলি হনুমান। লাল রঙের কাপড় পছন্দ করেন বলে, হনুমান জীর পূজায় লাল রঙের কাপড়, সিঁদুর এবং ধুপ, কলা, প্রদীপ ইত্যাদি ব্যবহার করতে হয়। আবার শাস্ত্র মতে লা কাপড় পরিহিত হনুমানজীর মূর্তিকে শুভ বলে মনে করা হয়।

হনুমানজীর পূজার জায়গা ভালো করে পরিস্কার করে, মূর্তির সামনে ধুপ এবং প্রদীপ জ্বালাতে হয়। হনুমানজীর পূজার অর্ঘ্য হিসাবে পাঁচটি কলা দিতে হয়। এবং গলায় মালা পরিয়ে দিতে হয়।

diya on different places on diwali jpg

পূজা শেষে অবশ্যই হনুমান চল্লিশা পাঠ করতে হবে। তাহলে জীবনের সমস্ত বাঁধা বিপত্তি দূর হবে।

নিয়ম মেনে মহাবলি হনুমানের পূজা করলে বুদ্ধি হবে তীক্ষ্ণ, পূর্ণ হবে মনের আশা।
প্রতি মঙ্গলবার করে হনুমানজীর আরাধনা করলে সংসারে কখনই অর্থভাব ঘটবে না। সব প্রতিকূল পরিস্থিতিকে জয় করতে পারবেন এবং চাকরি পাবেন মনমত।

6299a4a9a0aab50fa7efa00ed7812cff

অর্থাৎ ভক্তিভরে, মন দিয়ে হনুমানজীর পূজা করলে, খারাপ সময় দূরে গিয়ে ভালো সময় আসতে দেরি হবে না। মঙ্গলবার দিনে হনুমানজী জন্মগ্রহণ করেছিলেন বলে, প্রতি মঙ্গলবার করে হনুমানজীর পূজা করা হয়।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর