বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাংলাদেশ-মেঘালয় সংলগ্ন এলাকায় একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। আর একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে, মধ্যপ্রদেশের উপর। এই দুই ঘুর্নবাতের জেরেই আগামী ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টির সম্ভাবনা বাংলাজুড়ে। ঝড়ো হাওয়া আর বৃষ্টির দাপট থাকতে পারে বুধবার পর্যন্ত এমনটাই জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর।
শহরের তাপমাত্রা
গতকাল কলকাতা (Kolkata) শহরের সকালে তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। আজকে শহরের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। সকাল থেকেই মেঘাচ্ছন্ন আকাশ দেখা যাচ্ছে। ধীরে ধীরে আরও আবছা হতে শুরু করবে এবং দমকা বাতাস বইতে পারে
বৃষ্টির আশঙ্কা
সন্ধের দিক থেকে শুরু করে আগামী দুই-তিন দিন দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে প্রবল ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রাজ্যের সর্বত্রই রয়েছে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।
কি ছিল আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস?
আবহাওয়া অধিদফতর পূর্বাভাস দিয়েছিল যে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এই বছর গ্রীষ্মের তাপপ্রবাহের প্রকোপ আগের বছরের তুলনায় বেশি হবে। বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে গড় তাপমাত্রা 0.5 থেকে 1.0 ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে বলে আশা করা হয়েছিল।
বলা হয়েছিল, ২০২০ সালে মার্চ থেকে মে অবধি এই তিন মাসের তাপমাত্রা গড় স্বাভাবিক তাপমাত্রা থেকে ০.৫ থেকে ১ ডিগ্রী বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে। এর পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিম দিকের বেশ কয়েকটি জেলায়ও গরম বাড়তে পারে। পুরুলিয়া (Purulia), বাঁকুড়া (Bankura), বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমানের জেলাগুলিতে গরম পড়বে। আবার বেশকিছু জায়গায় যেমন হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh), উত্তরাখণ্ড, পশ্চিম রাজস্থান ও অরুণাচল প্রদেশে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের ১ ডিগ্রির থেকেও বেশি বাড়বে।