বাংলাহান্ট ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra modi) এই লডাউনের (Lockdown) মধ্যে দেশবাসীর জন্য ২০ লাখ টাকার অর্থনৈতিক প্যাকেজের ঘোষণা করেছিলেন। সেই প্যাকেজের প্রথম দফা ঘোষণার পর, দ্বিতীয় দফায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman) কৃষক এবং দরিদ্রদের জন্যও বরাদ্দ ঋণের বশয়ে বিস্তারিত জানান। তবে কৃষক সংগঠন এই প্যাকেজকে হতাশ বলে বর্ণনা করেছে।
ভারতীয় কৃষক ইউনিয়ন এই প্যাকেজের বিরোধিতা করছে
ভারতীয় কৃষক ইউনিয়ন জানিয়েছেন, সরকারের এই ঘোষিত প্যাকেজের মাধ্যমে কৃষক স্বাবলম্বী না হয়ে বরং আত্মহত্যার দিকে বেশি ঝুঁকবে। ভাকিউয়ের জাতীয় মুখপাত্র চকু রাকেশ টিকাইত জানালেন, খুব শিগগিরই একটি কৃষক আন্দোলন শুরু হতে চলেছে।
বিভিন্ন প্রশ্ন উঠতে থাকে এই প্যাকেজের বিপক্ষে
ভারতীয় কৃষক ইউনিয়ন কৃষকদের জন্য অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা করা এই নতুন অর্থনৈতিক প্যাকেজ নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলেন। তিন মাসের জন্য কৃষি ঋণ বাড়ানো এবং নতুন কিষাণ ক্রেডিট লোন দেওয়া ছাড়া নতুন আর কি আছে? আমাদের কৃষিকাজ, কৃষি শিল্পের অনুকূল পরিবেশ থাকলে কখনই ঋণের প্রয়োজন হত না। এই বিষয়টা আমাদের দেশের প্রধানরা আর কবে বুঝবেন? প্রথম থেকেই কৃষকেরা বিরাট অংকের ঋণের ভারে জর্জরিত। তার উপর আবার নতুন ঋণ।
ভেঙ্গে পড়া অর্থনীতিতে নতুন সংযোজন করোনা
রাকেশ টিকাইত জানিয়েছেন, প্রথম থেকেই ভারত গভীর অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে। বর্তমানে এই সংকটের মধ্যে নতুন সংযোজন হল করোনা। অল্প কিছু সময়ের জন্য, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া, স্টার্ট আপ, স্মার্ট সিটি, এমপি ভিলেজ, বিদেশী বিনিয়োগ, পাঁচ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির’ ক্ষমতি ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করছে মোদী সরকার।তবে গত অর্থবছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী কৃষি বৃদ্ধির হার ৪.৫ শতাংশের বদলে ২.৩ শতাংশ হয়েছে।
কৃষকদের আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়তে পারে
দেশে জনসাধারণের আয় কমে যাওয়ায়, বাজারের চাহিদাও কমেছে। আবার এই কৃষক নেতা অর্থনীতিবিদ, বিরোধী দল, ট্রেড ইউনিয়ন ও কৃষক সংগঠন সরকারের কাছে দাবী করেছিলেন যে, ‘দেশে অর্থের অভাব পড়লে, আমাদেরকে এই অর্থ দান করতে হবে’।
রাকেশ টিকাইত আরও জানিয়েছেন, বর্তমান সংকটের মধ্যে সংকট বাজারে আরও বৃহত্তর চাহিদা সংকট তৈরি হচ্ছে। দেশের প্রায় ৮০ কোটি শ্রমিক-গরিব-কৃষকদের রোজগার এখন বন্ধের মুখে। সেখানে তারা সরকারের এই মোটা অংকের ঋণ কিভাবে শোধ করবে। যার জেরে কৃশকরা ঋণ মুকিবের ভয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেবে। এবং পরবর্তিতে এক বিরাট কৃষক আন্দোলনেরও সৃষ্টি হতে পারে।