ফের বিতর্কে জড়ালেন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা। লকডাউন চলার মধ্যে কখনো খেলাশ্রীর ক্লাবগুলোকে টাকা দেওয়ার নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন আবার কখনো তিনি লকডাউনকে মান্যতা না দিয়ে রাজনীতি করলেন। গতকাল বাঁকুড়া ৭২ জনের বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগদান করালেন কিন্তু কোন আইন না মেনে তিনি এই কাজ করেছেন বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।
বারবার রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকার থেকে বলা হচ্ছে তারা যেন সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স মেনটেন করে সামাজিক কাজ করে, সেই সময় কোন রকম সোশ্যাল ডিস্টেন্স না মেনে তৃণমূলের পতাকা তুলে দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা, তিনি বলেন বিজেপি থেকে তৃণমূলের মানুষ যোগদান করছে তাদের ইচ্ছাতে কিন্তু সেখানেই প্রশ্ন উঠছে একজন মন্ত্রী হিসেবে কিভাবে দায়িত্বজ্ঞানহীন ভাবে লকডাউন কে মানতা না দিয়ে এই কাজ করলে?
বরং নিজে দাঁড়িয়ে তৃনমূলের পতাকা তুলে দিলেন। বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন “হেরে যাওয়ার পর তার মাথা কাজ করছে না তাই কখনো খেলাশ্রীর টাকা দিয়ে ক্লাবগুলোকে হাতে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে আবার কখনো অন্ধকারের মধ্যে রাজনীতি করছে। আগামীদিন মানুষ বুঝিয়ে দেবে ২০২১ এ তৃণমূল সরকার শেষ, কারণ বাঁকুড়া কোন উন্নয়ন করতে পারেনি তৃণমূল সরকার এবং এই শ্যামল সাঁতরা একাধিক প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পালন করতে পারেনি তিনি শুধু কাল টাকাগুলো কালীঘাটে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। ”
কি কারনে লকডাউন ভেঙে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করালেন সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে? একদিকে যখন অসহায় মানুষ খেতে পারছে না বা একাধিক পরিযায়ী শ্রমিক জেলা বাঁকুড়া বসবাস করে দিল্লি, মুম্বাই, গুজরাটে আটকে রয়েছে তাদের কথা না ভেবে কিভাবে রাজনীতি করলে সেই নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।