Ekchokho.com 🇮🇳

গ্রেফতারির ঠিক ১ ঘন্টা আগে কী করছিলেন মনোজিৎ? কসবা কাণ্ডে মোড় ঘোরানো তথ্য এবার পুলিশের হাতে!

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : কসবা (Kasba Law College) গণধর্ষণ কাণ্ডে তদন্তে নামতেই মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের বিরুদ্ধে একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে আসছে। ইতিমধ্যেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন ওই কলেজেরই (Kasba Law College) ছাত্রছাত্রীরা। আর এবার পুলিশি তদন্তে উঠে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য, যা ঘুরিয়ে দিতে পারে তদন্তের মোড়। জানা গিয়েছে, গ্রেফতারির ঘন্টাখানেক আগে ফার্ন রোডে একজনের সঙ্গে দেখা করেন অভিযুক্ত মনোজিৎ এবং জৈব আহমেদ।

কসবা কাণ্ডে (Kasba Law College) পুলিশের হাতে নতুন তথ্য

মঙ্গলবার আদালতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রমাণ দাখিল করেছেন সরকারি আইনজীবী। আর বুধবারই পুলিশের হাতে এল আরেক চাঞ্চল্যকর তথ্য। গণধর্ষণের ঘটনার পরের দিন, গ্রেফতারির একঘন্টা আগে বালিগঞ্জ স্টেশনের কাছে ফার্ন রোডে এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করেন মনোজিৎ এবং জৈব। দুই অভিযুক্তের মোবাইল টাওয়ার লোকেশন পরীক্ষা করে পুলিশ এই তথ্য পেয়েছে বলে খবর সূত্রের।

Kasba Law College main accused went to meet someone on the day of arrest

গ্রেফতারির দিন কোথায় ছিলেন মনোজিৎ: জানা গিয়েছে, দুজনের মোবাইল টাওয়ার পরীক্ষা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, গ্রেফতারির দিন অর্থাৎ ২৬ শে জুন সন্ধ্যা ৬ টা ২৫ মিনিট নাগাদ ফার্ন রোডে কারোর সঙ্গে দেখা করেছিলেন মনোজিৎ (Kasba Law College) এবং জৈব। তার একঘন্টা পরেই সন্ধ্যা ৭ টা ২০ মিনিট নাগাদ বোসপুকুর তালবাগান এলাকা থেকে গ্রেফতার হন মনোজিৎ। ৭ টা ৩৫ মিনিট নাগাদ ওই এলাকা থেকেই গ্রেফতার হন জৈব।

আরো পড়ুন : কসবা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ‘ভাইপো গ্যাং’-এর সদস্য! এবার সরাসরি অভিযোগ শুভেন্দুর

ব্যক্তির খোঁজে পুলিশ: এখন প্রশ্ন উঠছে, কে ওই ব্যক্তি, যার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন দুই অভিযুক্ত? তবে কি ঘটনার পর কাউকে ধরে আইনের ফাঁক গলে বেরোনোর চেষ্টায় ছিলেন তাঁরা? উল্লেখ্য, এর আগেও মনোজিতের (Kasba Law College) বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠলেও পুলিশে জানিয়ে লাভ হয়নি বলে দাবি করেছিলেন অনেকে। এখন কার সঙ্গে কী উদ্দেশ্যে তাঁরা দেখা করতে গিয়েছিলেন সেটাই খতিয়ে দেখার পালা।

আরো পড়ুন : হাসপাতাল থেকে ফুটপাতের দোকান সর্বত্র কাটমানি! ‘তৃণমূলী তোলাবাজি’র বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতাকে একহাত অমিত মালব্যর

উল্লেখ্য, মনোজিৎদের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে অপহরণের মামলা। মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে আরো ধারা যুক্ত করার আবেদন জানানো হয় পুলিশের তরফে। আদালতের তরফে সম্মতি আসতেই যোগ করা হয় আরো ৬ টি ধারা। মোট ৯ টি ধারার মধ্যে ৩ টি জামিন অযোগ্য ধারা। আদালতে জমা দেওয়া নথিতে মূল অভিযুক্ত মনোজিৎকে ‘প্রভাবশালী’ তকমা দিয়েছে পুলিশ।