বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য মসজিদের (Mosque) দ্বার উন্মুক্ত করে দিল নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুরের গোপালপুরের পুরাতন মসজিদ কমিটি। আলো, পাখা এবং শৌচাগার সহযোগে করা তৈরি করা হল কোয়ারেন্টিন সেন্টার। একপাশে চলছে নামাজ পড়ার কাজ, আর অন্যপাশে সমস্ত নিয়ম কানুন মেনেই পরিযায়ীদের রাখা হয়েছে মসজিদের কোয়ারেন্টিনে।
পরিযায়ী শ্রমিকদের থাকার বিষয়ে আলোচনা হতেই এগিয়ে আসে শান্তিপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাতন মসজিদ কমিটি। ওই অঞ্চলে প্রায় ১ হাজার মানুষ বসবাস করেন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত।
পরিযায়ী বিভ্রাট
রাজ্যে ক্রমাগতই বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু এরই মধ্যে ভিন রাজ্যে কাজের জন্য আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকরাও বাড়ি ফিরতে চাইছে। তাঁদের আনলেও সমস্যা, আবার না আনলে তারা পায়ে হেঁটেই ফেরার পথ বেছে নিতে গিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হলেও, তারা থাকবে কোথায়? এই নিয়ে বহু তর্ক-বিতর্ক, সংঘর্ষ অনেক কিছুই দেখেছে মানুষজন।
থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে পরিযায়ীদের
নিজ রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদেরকে মসজিদের কোয়ারেন্টিনে রাখতে পেরে মসজিদের ইমাম মহম্মদ হাকিম জানান, মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি, সভাপতি এবং পাড়ার বিভিন্ন মানুষের সাথে সবরকম বিষয়ে আলোচনা করে, তবেই আমরা এই পরিযায়িদের থাকার ব্যবস্থা করেছি। তাঁর সাথে তাঁদের যতে কোন সমস্যা না হয়, সেজন্যও সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কিছু করতে পেরে শান্তিপুর পৌরসভার পৌর প্রশাসক অজয় দে জানান, শ্রমিকদের যাতে কোন সমস্যা না হয়, তাঁর জন্য ৪টি ওয়ার্ড পিছু একজন কর্মীকে রাখা হয়েছে।
খুশি পরিযায়ীরাও
মসজিদ কমিটির এই ব্যবহারে অত্যন্ত খুশি পরিযায়ীরা। ৬ জন পরিযায়ী শ্রমিকদের একটি দল মহারাষ্ট্র থেকে ফিরে এই মসজিদের কোয়ারেন্টিনে আশ্রয় নিয়েছে। মসজিদ কমিটির এই মানবিক দিক থেকে এক পরিযায়ী শ্রমিক গিয়াসউদ্দিন শেখ জানান, রাজ্যে ফিরে এখানে থাকতে পেরে যথেষ্টই খুশি আমরা। এখানে আমাদের কোন রকম অসুবিধা হচ্ছে না। থাকা-খাওয়া থেকে আমাদের জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থাই করেছে মসজিদ কমিটি।